বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায়দান করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিচারক। তার আগেই এল বিচারকের বদলির নির্দেশ। আট বছর আগে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের একটি মামলায় ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালত। দোষীদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা বর্ধমান-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি-সহ অন্যরা।
তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে রায় যেতেই বিচারকের বদলি অর্ডার?
মঙ্গলবার এই মামলায় রায়দান করার কথা ছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তা স্থগিত হয়ে যায়। বুধবার তাদের সাজা ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু এরইমধ্যে বিচারকের বদলির অর্ডার চলে আসায়,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা যাচ্ছে,দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ রায়দান করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। আর আজই কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটি তাঁকেই বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদালত চত্বরে। যদিও আইনজীবীদের দাবি এতে রায়দনের ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা থাকবে না। তাঁদের দাবি, এটা রুটিন বদলি। বিচারকের বদলির অর্ডারের সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে বিচারকের বদলির নির্দেশ আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির দাবি, শাসক দলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে গেলে, তাঁদের সঙ্গে এরকম হচ্ছে। অভিযোগ,আগে পুলিশের সঙ্গে যেমনটা হতো এখন বিচারকের সঙ্গে নাকি তেমন হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এটা শুধুই রুটিন বদলি। এর সঙ্গে রয়দানের সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: বাংলা থেকে মহাকুম্ভে রোজ কতজন যেতেন? পরিসংখ্যান সামনে আনলেন যোগী, নিশানা মমতাকে
ঠিক কি ঘটেছিল?
আদালত সূত্রে খবর আট বছর আগে ২০১৭ সালে পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল। এই ঘটনায় তিনি দলের (Trinamool Congress) কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কাকলি গুপ্ত-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সোমবার বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ওই মামলাতেই ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও দোষীদের মধ্যে কাকলি গুপ্ত, যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ ও রায়ান-১ অঞ্চলের সভাপতি সেখ জামাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরইমধ্যে আজ বিচারকের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই রায়দান নিয়ে তৈরি হয় ব্যাপক জটিলতা।