বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, প্রকাশ ভর্মা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ব্যাপারে বুধবার নির্দেশ দেন বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি তালওয়ান্ত সিং। তাদের নিয়ে গঠিত দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ সাজার আদেশ দেওয়া মাত্রই ।এদিন রাতেই দিল্লি হাইকোর্ট থেকে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার দুপুরে তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। কারন গত চারদিন ধরে দিল্লিতে যে পরিস্থিতি সেই নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় ভারত। বলা যেতে পারে আতঙ্কে রয়েছে দেশের সাধারন মানুস। তাদের মনে একটাই ভয় এই অশান্তির আগুন হয়তো অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়বে যে কনোদিন ।মুরলীধরকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করার ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কলেজিয়াম। স্বাভাবিক ভাবেই রাতারাতি এভাবে বদলি করার সিদ্ধান্ত অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। আবার অনেকের মতে এতো তাড়াতাড়ি কি করে এসব করা সম্ভব সেটাই ভাবছেন। এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তীব্র আপত্তি করেছিলেন।
মুরলীধর একজন নিষ্ঠাবান বিচারপতিকে কেন এভাবে বদলি করা হচ্ছে তা মেনে নিতে নারাজ অনেকেই। আবার বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালনের হুমকিও দিয়েছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধেও উস্কানির অভিযোগ রয়েছে। কারন তিনি বলেন “দেশ কে গদ্দারো কো” তখন শ্রোতারা একসঙ্গে চেঁচিয়ে বলেন “গোলি মারো কো” । এরকম ভাবে উস্কানি দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকেকই। পাশাপাশিদিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘ এই পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতরাই হিংসায় দায়ী ৷ দিল্লির মানুষ হিংসা চায় না ৷ এই পরিস্থিতি দিল্লির ‘আম আদমি’ সৃষ্টি করেনি ৷ কয়েকজন দুষ্কৃতী হিংসা ছড়াচ্ছে ৷হেড কনস্টেবল রতনলালের বলিদান ব্যর্থ হবে না ৷ হিংসায় সকলেরই ক্ষতি ৷ দিল্লিবাসী হিন্দু-মুসলমানরা হিংসায় দুই ধর্মের মানুষেরই মৃত্যু ৷ মানুষের মৃত্যুতে আধুনিক দিল্লি হবে না ৷ হিংসার রাজনীতি বরদাস্ত নয় ৷’