বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুরু হয়েছিল বগটুই দিয়ে। এখন আবার হাঁসখালি ধর্ষণ (Hanskhali Rape) কাণ্ডে লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার জোগাড় রাজ্যের। ১৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ধিক্কার দিচ্ছে বিরোধী দল থেকে রাজ্যের মানুষ। সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যে মানুষ বাক্যহারা।
বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন উদ্বোধনে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ। তাহলে অভিযোগ ১০ তারিখে দায়ের করা হল কেন? দেহই বা পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি সবটা না জেনেই বলছেন, আসলে ধর্ষণ হয়েছে নাকি অন্তঃসত্ত্বা ছিল, নাকি অন্য কোনো কারণ, শরীর খারাপ ছিল কিনা। লভ অ্যাফেয়ার্স তো ছিলই, বাড়ির লোকেরা জানত, পাড়ার লোকেরাও জানত।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে নিন্দায় সরব বিরোধীরা। কিন্তু যে বুদ্ধিজীবীরা যেকোনো ঘটনায় মূল্যবান মতামত দিয়ে থাকেন, তাঁরা কী বলছেন? বগটুই কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া জানতে অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের বিধায়ক জুন মালিয়াকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, শুটিং ফ্লোরে আছেন। ফোনে কথা বললে বকা খাবেন!
হাঁসখালির ঘটনাতেও ব্যতিক্রম হল না। দ্য ওয়ালের তরফে অভিনেত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি পালটা বলেন, একটু পরে ফোন করবেন। তবে তারপর এক ঘন্টা পর্যন্ত আর ফোন তোলেননি অভিনেত্রী বিধায়ক।
প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার তথা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি কলকাতার বাইরে। তাই মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন সেটা তিনি জানেন না। কিছুটা একই রকম বক্তব্য গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর। তিনি প্রশ্ন করলেন, “এটা কোন কেস?”
কবি সুবোধ সরকার অবশ্য স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, বিষয়টা ভাল জানেন না তিনি। তাই কোনো প্রতিক্রিয়া দেবেন না। শিল্পী শুভাপ্রসন্নর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বশীল। ভূভারতে তাঁর মতো শাসক নেই। হাঁসখালির ঘটনা সম্পর্কে বলতে পারি, এটা জঘন্যতম একটা ঘটনা। প্রেম বা অ্যাফেয়ার্স থাকলে আমি কাউকে ধর্ষণ করে খুন করতে পারি না। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” কবি শ্রীজাত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কবীর সুমন ফোন ধরার প্রয়োজন মনে করেননি। রাজ চক্রবর্তী নিজেই কেটে দিয়েছেন ফোন।