বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রতিবাদে নেমেছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ ছিলেন জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া (Asfakulla Naiya)। এবার তিনিই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন। বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। সেই আবহে এবার উচ্চ আদালতে গেলেন তিনি।
হঠাৎ কেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন আসফাকুল্লা?
সম্প্রতি আরজি করের আন্দোলনকারী এই জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যোগ্যতার থেকে বেশি ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রাইভেটে চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সূত্রে তাঁকে তলব করে পুলিশ। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে আসফাকুল্লাকে পুলিশ কমিশনারেটে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তার আগেই তলবের বিরোধিতায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে এই মামলার শুনানি কবে হবে সেই সময় এখনও স্থির হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ক্যারম খেললেন, খেয়েছেন খাবার! সাজা ঘোষণার আগে জেলে কীভাবে ছিলেন সঞ্জয় রায়?
কয়েকদিন আগেই কাগজের একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার নামের পাশে লেখা রয়েছে M.S (ENT) ডিগ্রি। এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রাইভেটে দেদার প্র্যাকটিস করছেন এই জুনিয়র চিকিৎসক। এর প্রেক্ষিতে আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় দায়ের হয় অভিযোগ।
এই মামলার সূত্রে আসফাকুল্লার কাকদ্বীপের বাড়িতে যায় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয় বলে খবর। এরপরেই গত শুক্রবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে এই জুনিয়র চিকিৎসককে (Junior Doctor) সমন পাঠানো হয়।
নোটিশের জবাবে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে সেদিন আসফাকুল্লা জানান, তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। কমিশনারেটের দপ্তরে হাজির হবেন বলেও জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজন পড়লে আইনজীবীর পরামর্শ নেবেন। আজ দেখা গেল, বিধাননগর কমিশনারেটে হাজিরা দেওয়ার আগে তলবের বিরোধিতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আসফাকুল্লা। তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ডাক্তারি পড়ুয়া, তাতে উচ্চশিক্ষা করছেন। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো ডিগ্রির অভিযোগ অযৌক্তিক।
আসফাকুল্লা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আরও অভিযোগ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে নানান ধারায় থানাগুলিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে ৩০ জন পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এর ফলে আতঙ্কিত পরিবার। এই সবকিছুর বিরুদ্ধেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এই জুনিয়র চিকিৎসক।