বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিন মাস অতিক্রান্ত! এখনও পর্যন্ত আরজিকর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) ধর্ষণ হত্যাকান্ডের তদন্তের গতি একেবারে তলানিতে। চার্জশিট গঠনের পর গতকাল শিয়ালদা আদালত থেকে বেরোনোর সময় প্রিজন ভ্যান থেকেই চিৎকার করে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত যে দাবি করেছেন তারপর থেকেই আরজিকর কান্ডে আসছে নতুন মোড়।
সিবিআই তদন্তের চার্জশিট নিয়ে এক গুচ্ছ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)
গতকাল প্রিজন-ভ্যান থেকে চিৎকার করেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত দাবি করেছেন তিনি নির্দোষ। তাঁকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হচ্ছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের এই মন্তব্যের পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্ত নিয়েও নতুন করে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জুনিয়র ডাক্তাররাও (Junior Doctor) প্রশ্ন তুলছেন সিবিআই তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে।
শুরু থেকেই এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) কিঞ্জল নন্দ। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন? কে তাকে ফাঁসালো? কেন ফাঁসালো? তার উদ্দেশ্য কি? সেই সাথে সিবিআই এর পুরো বিষয়টি খোলসা করা উচিত বলেও দাবি করেছেন কিঞ্জল। তিনি বলেছেন, ‘প্রায় তিন মাস হতে চলল। এই ঘটনায় এক জন ছাড়া কেউ গ্রেফতার হননি। আমরা প্রত্যেকেই জানি, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তা কোনও এক জনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তা হলে সিবিআই এত দিন ধরে কী করছে? কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না?’
সোমবার সঞ্জয় রায় শিয়ালদা আদালত থেকে বেরোনোর সময় চিৎকার করে জানিয়েছে, ‘আসলদের বাঁচানোর জন্য আমায় ফাঁসিয়েছে। আমি জজসাহেবকে বলছি যে, স্যর, আমি কিছু করিনি। আমায় উপর থেকে নীচে নামিয়ে দিল। এটা কি ন্যায়? ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়? আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড (এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই ফাঁসাচ্ছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম।’ আর তারপরেই এবার এই ঘটনায় সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস (Junior Doctor) ফোরাম (WBJDF)-এর সদস্যরা।
১. নিহতের এন্ডোসারভাইকাল ক্যানালে সাদা, গাঢ়, চটচটে তরলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। যার উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও। সেই তরলের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট কোথায়?
আরও পড়ুন : ‘মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে নয়তো ……’, আবার হুমকি সালমান খানকে
২ (DNA) পরীক্ষায় নির্যাতিতার শরীরের উপরিভাগে ধৃত ব্যক্তির লালারস থাকার প্রমাণ মিলেছে। সেকথা চার্জশিটে উল্লেখ করা হলেও সাদা, গাঢ় তরলের ডিএনএ পরীক্ষার উল্লেখ নেই কেন?
৩ যে ব্লুথুথ হেডফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার্জশিটে সেই ইয়ারফোনের অবস্থানের নির্দিষ্ঠ সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
৪ কেন সেদিন মেয়ের মৃতদেহের কাছে যেতে বাবা-মাকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
৫. ৯ অগস্ট অটোপ্সির জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তা কেন ১৪ অগস্ট কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হল?
৬ সেদিন ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় কি করছিলেন অভিযুক্ত? সিসি ক্যামেরায় ভোর ৪টে ০৩ মিনিটে অভিযুক্তকে দেখা গেলেও তার আগে তিনি কোথায় ছিলেন?
৭ তিলোত্তমার মা-বাবাকেই কেন এফআইআর করতে হয়েছে? কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও এফআইআর করেনি কেন?