বাংলাহান্ট ডেস্ক : জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) রাজ্য সরকারকে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ। এবার কথা মতো আমরণ অনশনে বসতে চলেছেন তাঁরা। শুক্রবার সরকারকে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। আরজিকর নির্যাতিতার সঠিক বিচার সহ দশ দফা দাবি পূরণ নিয়ে সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় এবার শেষের পথে। আমরণ অনশনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)।
আমরণ অনশনে বসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)
সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়সীমা শেষে দাবিপূরণ তো দূরঅস্ত, জুটেছে শুধু হুমকি। উৎসবে ফেরার মানসিকতায় তাঁরা নেই। আজ থেকেই আমরণ অনশনে বসছেন তাঁরা। কর্মবিরতি উঠেছে। কাজে ফিরছেন তাঁরা, তবে কেউ খাবার খাবেন না, স্পষ্ট কথা জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)।
আরো পড়ুন : হু ইজ শ্রীলেখা ম্যান! নায়িকাকে চিনতেই পারলেন না ঋতুপর্ণা, পালটা এল বয়স তুলে খোঁচা
অনশন মঞ্চে থাকছে সিসি ক্যামেরা
যেমনটা জানা গিয়েছে, আমরণ অনশনের প্রথম দফায় ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) বসছেন। তবে এই তালিকায় আরজিকর এর কেউ থাকছেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘দাবি পূরণ না হলে কিংবা মৃত্যু না হলে চলবে এই অনশন। যাঁরা বসছেন তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। তবে তাঁদের কিছু হলে দায়ী থাকবে রাজ্য প্রশাসন’। অনশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরাও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)।
আরো পড়ুন : অভিষেকের সঙ্গে টলমল ঐশ্বর্যের দাম্পত্য, এদিকে আরাধ্যাকে জড়িয়ে ধরলেন সলমন! কেসটা কী?
সিবিআই এর উপরেও নেই আস্থা
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা আরো বলেন, জয়নগরের ঘটনা আবারো প্রমাণ করে দিয়েছে কোথাও কেউ সুরক্ষিত নয়। ডাক্তার, রোগীদের সুরক্ষার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু নিরাপত্তা পাননি। উপরন্তু সিবিআই এর উপরেও সম্পূর্ণ আস্থা আর রাখা যাচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। আদালতের শুনানিতে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। এর জেরে রাস্তার একাংশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষদের হয়রানি হয়। তারপরেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সময়সীমা দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উল্লেখ্য, ধর্মতলায় অবস্থানের জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে ইমেল করা হয়েছিল তাঁদের তরফে। কিন্তু শনিবার সকালে লালবাজারের তরফে ইমেলের জবাব দিয়ে অবস্থানের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে পুলিশ। পুজোর মুখে ধর্মতলায় অবস্থানের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলেই স্পষ্ট জানায় পুলিশ। তবে পুলিশি বাধা সত্ত্বেও নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছে অবস্থান মঞ্চের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।