বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি সামনে রেখে আমরণ অনশন করছেন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলে অনিকেত মাহাতো (Aniket Mahato)। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ও তিনি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অবস্থার অবনতি হয় এই অনিকেতের! তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এখন কেমন আছেন অনিকেত (Aniket Mahato)?
সপ্তমীর সকাল থেকেই অনশনকারী এই জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানান খবর সামনে আসছিল। গভীর রাতে অবস্থার অবনতি হয়। জানা যাচ্ছে, অনশন মঞ্চে উপস্থিত বাকি ডাক্তাররা তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে অনিকেতকে আরজি করে (RG Kar Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এই জুনিয়র চিকিৎসককে সিসিইউ-তে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক আশফাকউল্লাহ নাইয়া সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে অনিকেতের (Aniket Mahato) প্রাণহানি হয়নি। তবে এখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ অষ্টমী-নবমীতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস! ৪ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতাঃ আবহাওয়ার খবর
আশফাকউল্লাহ জানান, অনিকেতের মূত্রে কিটোন বডি মিলেছে। তাঁর শরীরে আইভি ফ্লুইড চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই রক্তের নমুনার বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে। আপাতত সিসিইউ-তে রাখা হয়েছে এই অনশনকারী এই জুনিয়র চিকিৎসককে (Junior Doctor)।
এদিকে ইতিমধ্যেই ১২০ ঘণ্টার বেশি অনশন করে ফেলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিনিয়র ডাক্তাররা পাশে থাকার কথা বলে অনশন (Hunger Strike) প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সরকারের তরফ থেকেও বৈঠকের জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই বৈঠকের পরেও জটিলতা কাটেনি।
প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে চলেছিল এই বৈঠক। সেখান থেকে বেরিয়ে কোনও কোনও জুনিয়র চিকিৎসকের চোখে জল দেখা যায়। কেউ আবার ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও রকম ইতিবাচক বার্তা মেলেনি। এসবের মাঝেই এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনিকেত (Aniket Mahato)। তাই শারীরিক অসুস্থতার খবরে চিন্তায় পড়েছেন অনেকে।
এদিকে এখনও ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য দশ দফা দাবি আদায়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।