বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বেশ কয়েকবার এই মামলার শুনানি হয়েছে। বর্তমানে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার এই পরিস্থিতি ভীষণ উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে মঙ্গলবার এই বিষয়ক মামলা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শোনার আবেদন জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।
আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি কবে (Supreme Court)?
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতে এই মামলার শেষ শুনানি হয়েছে। সেদিনই জানানো হয়েছিল, ১৫ অক্টোবর ফের এই মামলা শোনা হবে। তার আগে বহু ঘটনা ঘটেছে। অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। তাঁদের মধ্যে অনেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তা সত্ত্বেও নিজেদের দাবি থেকে সরতে নারাজ অনশনকারীরা।
এবার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের কারণে পরিস্থিতি ভীষণ উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে মঙ্গলবার এই বিষয়ক মামলা গুরুত্ব সহকারে শোনার আবেদন জানিয়েছেন ইন্দিরা। জানা যাচ্ছে, শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (CJI DY Chandrachud) এজলাসে এই আর্জি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সন্দীপ অতীত! RG Kar দুর্নীতি মামলায় এবার CBI স্ক্যানারে এই ব্যক্তি! পরিচয় ফাঁস হতেই তোলপাড়
এদিকে আরজি কর মামলার গত শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে তদন্তের অগ্রগতি কতখানি হয়েছে তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। কারা তদন্তের অধীন রয়েছেন তাঁদের নামের তালিকা জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিজেআই চন্দ্রচূড়।
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যেই ৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের নামের তালিকাও চায় আদালত। রাজ্যের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) আশ্বস্ত করে বলা হয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সি নামের লিস্ট দিলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, সিবিআই নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী।
এখানেই শেষ নয়! রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ কতখানি এগিয়েছে সেটাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের তরফ থেকে জবাব দেওয়ার পর এই বিষয়ে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো সহ হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজ কতখানি এগোলো সেই নিয়েও আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।