বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের আবহেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনিকেত মাহাতো, পুলস্ত্য আচার্য, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, আলোক ভার্মা। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁদের। দশ দফা দাবি সামনে রেখে এই অনশনে বসেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors) এবং সরকার, দুই পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড়। এমতাবস্থায় রাজ্যের কিছু বিশিষ্টজন মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস হালদার।
মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে কী বললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)?
সম্প্রতি অপর্ণা সেনরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকে নিজেদের সই করা চিঠি মেল করেন। সেখানেই জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান তাঁরা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) উদ্দেশে বলেন, অনশনরত ডাক্তারদের যথাযথ মর্যাদা দিয়ে তাঁদের কথা শুনুন। তাঁদের দাবি পূরণের জন্য সততার সঙ্গে সচেষ্ট হন।
এদিন ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে এই প্রসঙ্গে দেবাশিস বলেন, ‘বিশিষ্টজনেরা আমাদের পাশে আছে জেনে খুব ভালোলাগছে। ওনারা আমাদের এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে যারা অনশন করছেন, দিন দিন তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ওনারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন আমরা যেন অনশন তুলে নিই। তবে আমরা বলতে চাই, যারা এত বড় আন্দোলনে নেমেছেন তাঁদের মনোবল এত কমজোর নয়। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও কখনও এই লড়াই থেকে সরে আসব না’।
আরও পড়ুনঃ আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ? আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়! ফাঁস হতেই তোলপাড়
এদিকে আবার জানা যাচ্ছে, সোমবারই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সহ চিকিৎসকদের সকল সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Chief Secretary Manoj Pant)। সেই বৈঠকে প্রত্যেক সংগঠনের তরফ থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। কে কে উপস্থিত থাকবেন, সেটা আগে থেকে মেল করে জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি আদায়ে অনশনে বসেছিলেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors)। পরবর্তীতে যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাতো। তাঁদের মধ্যে অনিকেত, অনুষ্টুপ এবং পুলস্ত্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এমতাবস্থায় জুনিয়র ডাক্তার এবং সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সমাজের কিছু বিশিষ্টজনেরা। তবে তার দরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।