এর শেষ দেখে ছাড়ব, ইস্তফার প্রশ্নই নেই! হুঙ্কার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংবাদের শিরোনামে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ যে পর্যবেক্ষণ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এবার বড় মন্তব্যও করলেন বিচারপতি।

সূত্রের খবর, এদিন সকালে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছলেও প্রথমার্ধ্বে এজলাসে যাননি তিনি। এর পরই জল্পনা ওঠে, রটে যায় কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? যদিও সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢাললেন খোদ বিচারপতি। দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পষ্টাপষ্টিই বলেন, “কে রটাচ্ছে আমি ইস্তফা দিচ্ছি। এটা ভুল রটনা হচ্ছে। আমি যে লড়াই শুরু করেছি, তার শেষ দেখে ছাড়ব।”

   

এরপর কিছুটা আবেগ বিহ্বল হয়ে বিচারপতি বলেন, কোনও মানুষই সারা জীবন থাকে না। তার কথায়, “আমার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে বেশ কিছু আইনজীবী ভুল বোঝাচ্ছেন।” মঙ্গলবারই বিচারপতি বলেন, “যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা চলবে। যত মিথ্যা কথা বলা হয়েছে, সেগুলির ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমি হয়তো সব দিন থাকব না। কিন্তু আমি থাকি বা না থাকি লড়াই বন্ধ হবে না। ইন্টারভিউ যখন আমি দিয়েছি, তখন উত্তরও আমাকেই দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি এখনও আপলোড হয়নি শুনলাম। অর্ডার আসুক। উত্তর দেব।”

supreme court, justice ganguly

প্রসঙ্গত, বিচারপতির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এই নিয়ে গতকাল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “কোনও বিচারপতি তার এজলাসের মামলা নিয়ে কখনই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। এমনটা যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে সেই সব মামলা তার এজলাস থেকে অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়াই ভাল।’ পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে শুক্রবারের মধ্যে সর্বোচ্চ আদলতে রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শীর্ষ আদালত এও জানায়, “যদি দেখা যায় সাক্ষাৎকারে বিচারপতি যে সব কথা বলেছেন তা মামলাকারীর পক্ষে গিয়েছে, কিংবা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাজ হবে পৃথক এজলাসে ওইসব মামলা স্থানান্তর করা।’ অন্যদিকে, আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করে গতকালই বিচারপতিকে বেনজির আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর