বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। শিক্ষক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে একে একে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা, বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে বহুদিন জেলেই রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। দিন দিন বিপদ বেড়েই চলেছে তার। আর এবার আরও বিপাকে পড়লেন মানিকবাবু।
এবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ দেশ-বিদেশের মানিকের যত সম্পত্তি রয়েছে সেসব বাজেয়াপ্ত (Property Seized) করতে হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে ইডিকে সময়সীমাও বেঁধে দিলেন বিচারপতি। তার নির্দেশ, আগামী ১ মাসের মধ্যেই ধৃত মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।
দিন দুয়েক পাঁচেক তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মানিক স্ত্রী ও পুত্র। সেই খবরে ভেঙে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। এরই মধ্যে এবার মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের নির্দেশ। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর একে একে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ধাপে ধাপে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেন মানিক ভট্টাচার্যকে।
তবে আদালত সূত্রে খবর, ৫ লাখ তো দূর এখনও একটি টাকাও হাইকোর্টে জরিমানা হিসেবে জমা দেননি পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার মানিকের একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেখানেই মানিকের ওপরে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। এদিন দেশ-বিদেশ মিলিয়ে বিধায়কের যত সম্পত্তি রয়েছে সেইসব কিছু আগামী ১ মাসের মধ্যে ইডিকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এক শুনানিতে মানিক ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিকের জোড়া পাসপোর্ট প্রসঙ্গ তুলে ছিঃ ছিঃ করে ওঠেন বিচারপতি। পাশাপাশি সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন ‘‘কত বার লন্ডনে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য? তার বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি বলতে পারি। শুনবেন? লন্ডনে তার বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন? আমি জানি।’’ তবে লন্ডনে তার কোনো বাড়ি নেই বলেই জোর গলায় জানিয়েছিলেন মানিকবাবু।
অন্যদিকে আদালতে ইডি দাবি করে, মানিক পুত্র শৌভিক যে কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন তাতে তার ভিসায় ‘পার্পাস’ হিসেবে লেখা ছিল ‘রেসিডেন্সিয়াল।’ লন্ডনে বাড়ি বা জমি না থাকলে কী করে রেসিডেন্সিয়াল পার্পাস হয় সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলে ছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।