আর বিলম্ব নয়, CBI-কে পার্থর দেহরক্ষীর ঘনিষ্ঠদের চাকরি তদন্তে গতি আনতে বলল আদালত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষক পদে এক চাকরিপ্রার্থী রমেশ মালিকের মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর এজলাসে একটি হলফনামা জমা পড়ে। এই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভরের ঘনিষ্ঠ ১০ জন বেআইনিভাবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। একই পরিবার থেকে কিভাবে এতজন একই সাথে চাকরি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী।

আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে চাকরির নথি খতিয়ে দেখার কাজ। পূর্বেই কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই কে নির্দেশ দেয় যে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। সেই মর্মে বৃহস্পতিবার সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুজনের সাথে এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

সিবিআই আইনজীবীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন,”আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না। এরপর আর বলবেন না যে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়নি।”

উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে যে জিজ্ঞাসাবাদে কি উঠে এসেছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।partha cbi high court

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন তখন এই বিশ্বম্ভর তার দেহরক্ষী ছিলেন। ওই সময় একই সাথে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পান বিশ্বম্ভরের স্ত্রী রিনা, তাঁর দুই ভাই বংশীলাল ও দেবগোপাল। এছাড়াও একই সাথে বিশ্বম্ভরের মাসতুতো ভাই পূর্ণ মণ্ডল, মাসতুতো বোন গায়ত্রী মণ্ডল, মেসোমশাই ভীষ্মদেব মণ্ডল, মাসতুতো জামাই সোমনাথ পণ্ডিত, শ্যালক অরূপ ভৌমিক, শ্যালিকা অঞ্জনা মণ্ডল, প্রতিবেশী অমলেশ রায়ও প্রাথমিকে চাকরি পান বলে অভিযোগ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর