বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোক কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনই মন্তব্য করেন বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। নেতার এই মন্তব্যের পর থেকে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
সুজনের প্রতিক্রিয়া
অধীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, ‘বিচারপতিদের নিয়ে মানুষের আশা, ভরসা থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। ওর প্রতিও সাধারণ মানুষের বিশেষত বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা আস্থার জায়গা অবশ্যই তৈরি হয়েছে।’
গতকাল ঠিক কি বলেছিলেন অধীর?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমি চাইব ভবিষ্যতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটা নির্বাচন হোক। তা যদি হয়, আমি কায়মনোবাক্যে এই মানুষটাকে ভোট দিতে সবার আগে লাইনে দাঁড়াব। ”
অধীর আরও বলেন, “বাংলার মানুষ তাকে বিশ্বাস করছে। ভরসা করছে। এটা একটা নতুন নজির হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষেরা রাজনীতিতে এলে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।’’
আরও পড়ুন: ১ সপ্তাহের মধ্যেই স্কুলে বিপুল শিক্ষক নিয়োগ! কাদের খুলছে কপাল? জানালেন SSC চেয়ারম্যান
তবে বিচারপতি বহরমপুর কেন্দ্র থেকে দাড়ালেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাকে ভোট দিতে পারবেন। এই বিষয়ে সুজনবাবু বলেন, ‘এটা লোক দেখানো কথা কিনা সেটা আমি জানি না, উনি (অধীর) কী ভেবে এটা বলেছেন উনি বলতে পারবেন। সে ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।’
পাল্টা তৃণমূল
এদিকে অধীরের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শান্তনু সেন জানান, ‘আগে সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি কেন্দ্রের তল্পিবাহকতা করে রাজ্যসভার সাংসদের আসনে বসেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও সেই রকম প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা শূন্য কংগ্রেস এবং শূন্য বামেদের একটি যৌথ প্রস্তাব বলে মনে হচ্ছে। কিছুই না তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির শক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ‘
প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ, রোষের মুখে পড়েছেন বিচারপতি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে দেবাংশু ভট্টাচার্য একাধিক শাসক দলের নেতার আক্রমণের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে বিচারপতিকে।
কি বলছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
যদিও যাকে নিয়ে এই চর্চা সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি। এসব ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’ তবে তিনি এও বলেন, “অবসর নেওয়ার পর আমি রাজনীতিতে আসতে পারি। তবে সেটা দলীয় রাজনীতি নাও হতে পারে। পার্টি পলিটিক্স নাও হতে পারে।”