মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারের পথে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, জানাল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে বঙ্গে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে একটি নাম! বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) , এই বিষয়ে হয়তো অনেকেই সহমত পোষণ করবে। তাঁর দেওয়া রায়ে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। বাংলার মাটিতে জমে থাকা পাহাড়প্রমান নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলার একে একে রায় দিয়েছেন তিঁনি। বর্তমানেও সুবিচারের আশায় তাঁর দিকে চেয়ে রয়েছে লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী। অন্যদিকে এবার এজলাস সামলানোর পাশাপাশি সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এগিয়ে এলেন জনসেবায়। মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করতে চলেছেন ‘বাংলার আইকন’ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। এমনটাই জানাল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

‘গণদর্পণ’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দাবি , চলতি মাসের ১০ তারিখ সংগঠনের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার নিতে চলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এ বিষয়ে গণদর্পণের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সাহা রায় বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে মরণোত্তর দেহদানের সঙ্গে তাঁদের এই সংগঠন। পাশাপাশি, বিগত চার দশক ধরে জনসেবায় নিযুক্ত তাঁরা। এবছর ১০ জানুয়ারি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান দিবস’ উপলক্ষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে যায় সংগঠনের সদস্যরা । তখনই মরণোত্তর দেহদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে ১৮৩৬ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বপ্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন পন্ডিত মধুসূদন গুপ্ত। সেই সময় থেকেই দিনটি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান দিবস’ হিসেবে বিবেচিত। সূত্রের খবর, ওই দিনকে স্মরণ করেই সংগঠনের হাত ধরে  এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি। আপনাদের আরও জানিয়ে রাখি উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা সংগঠনের সহ-সভাপতি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যেরও (Bikash Ranjan Bhattacharya)।

justice abhijity

তবে বলাবাহুল্য কিছুমাস ধরে খবরের শিরোনামে থাকলেও শুধুমাত্র যে বাহবাই পেয়েছেন বিচারপতি, এমনটা কিন্তু নয়। বহু মানুষের কটাক্ষেরও শিকার হয়েছেন তিঁনি। কেউবা আবার তাঁকে বিদ্রুপ করে বলেছেন , ‘আইনই ঠিকঠাক জানেন না বিচারপতি ।’ তবে সমালোচকদের সর্বপ্রকার কটাক্ষ, বিদ্রুপকে একেবারেই পাত্তা না দিয়ে নিজ লক্ষ্যে অবিচল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর