বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনীতির ময়দানে নয়, স্কুল চত্বরে তৃণমূল নেতাদের (TMC Leader’s) দাদাগিরি। এবার প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে বড় নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার নাহিট এফ পি প্রাথমিক স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন দিলীপ কুমার নট্যর। তার করা মামলার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট।
দিলীপ কুমার নট্যর দাবি, তার আমলে স্কুলে পঠনপাঠন থেকে শুরু করে সমস্ত দিকেই উন্নতি হয়। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে ওই স্কুলে যখন চাকরি পান স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতা। সেই থেকেই বিপত্তি।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, স্কুলে তৃণমূল নেতারা ঢোকার পর থেকেই তাকে কাজে বাধা দিতে শুরু করে। চলে মানসিক নির্যাতন। এরপর ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ছেলের চিকিৎসার জন্য দিলীপবাবু বেঙ্গালুরুতে গেলে তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন।
আরও পড়ুন: আজ থেকে রেকর্ড বৃষ্টির পূর্বাভাস! ৮ জেলায় জারি কমলা সতর্কতা, ১১ জেলায় হলুদ, জানাল হাওয়া অফিস
এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্কুল পরিদর্শককে সমস্ত ঘটনা জানালেও কোনও কাজ হয়নি। এরপর গত বছর ওই শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলে অবশেষে কোনও রাস্তা না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গতকাল মামলাটির শুনানি চলে।
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে এভাবে পদ সরিয়ে দেওয়া যায় না। অভিযোগ খতিয়ে না দেখে বেতনও বন্ধ করার কোনও নিয়ম নেই। এরপর এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবীর উত্তরে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি।
এরপরই আগামী ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ওই ৩ অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা স্কুল পরিদর্শকেও আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিচারপতির নির্দেশের পরই অন্য স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় মামলাকারী প্রধান শিক্ষককে।