বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)! বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বর্তমানে নামটা কারও অজানা নয়। রাজ্যের বহু যুবক-যুবতীর পথ চলার দিশারি তিনি। তার অকপট নির্দেশে মুখে হাসি ফুটেছে হাজার হাজার মানুষের। কারও কাছে তিনি আইকন আবার কারও কারও কাছে তিনি ভিলেনও বটে। তবে এবার নিজের জীবনের পথ চলার দিশারিকে নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আজ রবিবার ‘ফাদার্স ডে’। তার একদিন আগে নিজের বাবাকে স্মরণ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে শোনালেন কিছু কাহিনী। পাশাপাশি অপসংস্কৃতি প্রসঙ্গও উঠে এল বিচারপতির কণ্ঠে। গত বছর থেকে বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে অনেকের আদর্শ হয়ে উঠেছেন তিনি।
এদিন সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এল নিজের বাবার কথা। বলেন, “আমার বাবা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। তিঁনি যেভাবে আমাদের তিন ভাইবোনকে বড় করে তুলেছিলেন, আজ যখন আমরা ভয়ংকর একটা অপসংস্কৃতিক মুখোমুখি হই তখন বুঝতে পারি সেই শিক্ষাটা আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
শুধু তাই নয়। বিচারপতি আরও বলেন, “বাবা হয়তো তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন এমন একটা দিন আসবে যখন সুস্থ সংস্কৃতি এবং অপসংস্কৃতির মধ্যে ফারাকটা করে সুস্থ সংস্কৃতিকে বেছে নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণটা তিঁনিই দিয়েছিলেন। বাবাই আমাদের বাছাই করে দিতেন আমরা কী বই পড়ব, কী গান আমরা শুনব এবং কী সিনেমা দেখব সবকিছু।”
বাবাকে অল্প বয়সে হারানোর যন্ত্রনা আজও রয়ে গিয়েছে বিচারপতির মনে। তিনি বলেন, “বাবার শাসন এবং স্নেহে বড় হয়েছিলাম ১৬ বছর পর্যন্ত। অত্যন্ত অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলাম। কিন্তু, তাঁর শিক্ষাগুলো সবসময় মনে রাখি।” বাবার দেওয়া শিক্ষা নিয়েই জীবনের পথে চলেন বিচারপতি।