বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Scam) মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশে ঘুম উড়েছে অনিয়ম করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
২০১৬ সালের এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল NCTE-র নিয়ম ভঙ্গ করে প্রাথমিকের নিয়োগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বদলে প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় অনেকের কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ‘নেওয়া হয়নি’। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩০ জন পরীক্ষককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই ৩০ জনের মধ্যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে কে কী বলেছেন তাও নির্দেশ নামায় উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। আর সেখানেই অবাক করা সব জবাব। ৩০ জনের মধ্যে ৯ জন বলছেন অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ৪ জন পরীক্ষক বলেছেন অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার কোনো নির্দেশ তাদের কাছে ছিল না।
আর এসবের উর্দ্ধে গিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার পরীক্ষকের উত্তর, “হোয়াট ইস অ্যাপটিটিউড টেস্ট? “ অর্থাৎ অ্যাপটিটিউড টেস্ট কী সেটাই নাকি তিনি জানেন না। পাশাপাশি নির্দেশ নামায় কিছু প্রার্থীর নম্বরেরও উল্লেখ করা হয়েছে। যাতেও অসংগতি ধরা পড়েছে।
নির্দেশ নামায় বিচারপতি লিখেছেন ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি-সহ আধিকারিকদের কাজ অনেকটা স্থানীয় ক্লাবের মতো। আর ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, যাদের টাকা ছিল প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।