‘আদানিকে স্কুল বেচে দিন’, শিক্ষকদের মাইনে না দিতে পারায় তীব্র ভর্সৎনা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের সাহসী সিদ্ধান্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর একের পর এক রায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল রাজ্য জুড়ে। এবার সোমবার নিজের এজলাসে স্কুলের জীর্ণ দশা নিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে (Eastern Coal Field) তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে ঝাড়খণ্ডে ৯টি ও পশ্চিমবঙ্গে ৭টি বিদ্যালয় রয়েছে। এই স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের বেতন না পাওয়া নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানি চলাকালীন ইস্টার্ন কোলফিল্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। ইস্টার্ন কোলফিল্ডের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন, ‘দেশে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করা হচ্ছে আর শিক্ষকদের এই অবস্থা? কোনও সভ্য নাগরিক এটা সহ্য করতে পারে?’। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘স্কুল না চালাতে পারলে আদানিকে বেচে দিন।’

জানা যাচ্ছে, শিক্ষকদের বেতন প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘হাইকোর্টের রেজিস্টারের কাছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এই টাকা দিয়ে সব শিক্ষকদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ৩ মাসের জন্য মোট ১৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে।’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘টাকা দিয়ে চাইলে স্কুল বন্ধ করে দিন। শিক্ষকদের চোখের জল ফেলবেন না।’

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যা,Justice Abhijit Ganguly,ইস্টার্ন কোলফিল্ড,Eastern Coal Field,কলকাতা হাইকোর্ট,Calcutta High Court,Bangla,Bangla News,Bangla Khabor,Bengali,Bengali News,Bengali Khabor

ইস্টার্ন কোলফিল্ডের আইনজীবী জানান এই শিক্ষকরা তাঁকে স্থায়ী কর্মী নন এবং জরিমানার টাকা দিতে তাদের সমস্যা হবে। জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘সমস্যা হলে হবে, কিছু করার নেই। শিক্ষকদের বেতন না দেওয়ার বিষয়ে আপনার খুবই বেপরোয়া।’ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে।

ইস্টার্ন কোলফিল্ডের আওতায় থাকা স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের ঠিকভাবে বেতন না দেওয়া অভিযোগ উঠেছে বারবার। কোনও শিক্ষকের ১০ মাস, কারও আবার ৭ বছরের বেতন আটকে রয়েছে। যেসব শিক্ষকদের বেতন আটকে রয়েছে তাঁরা মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পেতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পেয়ে তাঁরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।