বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment) পরীক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি! ইন্টারভিউ আর অ্যাপটিটিউড টেস্টকে একসঙ্গে করে একটা গড় নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আদালতে জমা দেওয়া হলফনামা দেখে ঠিক এমনটাই বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।
ঠিক কী বললেন বিচারপতি? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitute Test) নিয়ে হলফনামা যা দেওয়া হয়েছে তাতে ২০১৬ -এর প্রাথমিকে ওই টেস্ট নেওয়া হয়নি বোঝা যাচ্ছে। এই নিয়ে যা নথি সাক্ষ্য এসেছে তাতে স্পষ্ট ওই টেস্ট নেওয়া হয়নি। তিন চারটে প্রশ্ন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা স্পষ্ট টেস্ট হয়নি।”
এদিন হলফনামা খতিয়ে দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই এই মামলায় ৫ জেলার ইন্টারভিউয়ারদের তলব করলেন বিচারপতি। ২০১৪-র টেটের প্রেক্ষিতে, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদ, এই ৫ জেলায় যারা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাদের বেশ কয়েকজন তলব করেছেন বিচারপতি।
আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ছাড়া আর এজলাসে আর কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেই জানা গিয়েছে। রুদ্ধদ্বার এজলাসে শুনানি হবে। পাশাপাশি ওই দিনের সাক্ষ্য ক্যামেরা বন্দি করা হবে বলেও সূত্রের খবর।
ইন্টারভিউয়াররা কী পরীক্ষা নিয়েছেন সেই ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চেয়ে তলব করেছে কোর্ট। জানা গিয়েছে প্রতি জেলা থেকে অন্তত ১০ জন করে শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আরও খবর, শিক্ষকদের আসা-যাওয়ার খরচ বহন করবে পর্ষদ। দূরের জেলাগুলোর ক্ষেত্রে ২০০০ ও কাছের জেলা থেকে যাতায়াতে ৫০০ টাকা করে প্রদান করবে পর্ষদ।