বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারব্যবস্থায় চর্চিত নাম বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। যার নামে দুর্নীতিবাজদের ওড়ে ঘুম। বিচারপতি হিসেবে সর্বদা সত্যের পক্ষে অবিচল। কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে ভয় পান না তিনি। একের পর এক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়ে বিচারব্যবস্থায় ছাপ ফেলেছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দাপুটে এই বিচারপতি। জাস্টিস সিনহাকে নিয়ে এই মুহূর্তের বিরাট কৌতূহল সাধারণ মানুষের মধ্যে।
একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন তিনি। বেআইনি নির্মাণ হোক কিংবা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ও তার সম্পত্তির হিসাব, নিয়োগ দুর্নীতি, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ, সমস্ত ক্ষেত্রেই কড়া হাতে নির্দেশ দিয়ে নজির গড়েছেন বিচারপতি। সমাজের একাংশের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন আইকন। আজ আমরা বিচারপতি অমৃতা সিনহার জীবনী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। (তথ্য Rightrasta দ্বারা সংগৃহীত)
১৯৬৬ সালের ২৪ মে জন্ম হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার। ভারতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার জাতীয়তা ভারতীয়। বিচারপতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কলকাতা হাইকোর্টেরই এক আইনজীবীরে সঙ্গে। বিচারপতির স্বামীর নাম- প্রতাপচন্দ্র দে।
অমৃতা সিনহা একজন সুপরিচিত এবং সম্মানিত বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিত্ব। বিচারব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নিজেই বহু বছরের কর্মজীবন জুড়ে, তিনি ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা এবং আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় নিষ্ঠা বজায় রেখেছেন। সেন্ট জেভিয়ার কলেজে শিক্ষা লাভ করেন বিচারপতি। এরপর ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: টিকিট দেয়নি দল, ভোট শেষ হতেই কী তৃণমূল নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান
২ মে, ২০১৮ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। বিচারপতির জ্ঞান এবং অধ্যবসায় তাকে কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারকের আসনে জায়গা করে দিয়েছে। ২৪ এপ্রিল, ২০২০ সালে অমৃতা সিনহা কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। ২৪ ডিসেম্বর, ২০৩১ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি একজনের সরকারি কর্মী, এবং স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। Rightrasta থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিচারপতির নেট ওয়ার্থ- ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা।