বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় রুষ্ঠ। এবার তদন্তের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের একাংশকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যেসকল অফিসার (Enforcement Directorates) তদন্তে গাফিলতি করছেন তাদের নামও জানেন বলে ভরা এজলাসে মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)।
এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলায় ইডির আধিকারিকদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়ে বিচারপতি বলেন, “‘আপনাদের কিছু আধিকারিককে সতর্ক হতে বলুন। আদালতের কাছেও রিলায়েবল সোর্স থেকে বিভিন্ন তথ্য আসছে। কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা রয়েছে। কাকে তদন্ত করা হবে, কাকে তদন্ত করা হবে না তা নিয়ে বাছবিচার করা হচ্ছে।”
বিচারপতি। সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘পুরো তদন্ত আদালতের নজরদারিতে চলছে। কাকে, কখন, কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, কাকে করা হবে না, ইডি অফিসারদের এই সব তথ্য বিশ্বস্ত সূত্র মারফত আমার কাছে রয়েছে।’’ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে মুখ বন্ধখামে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই ও ইডি।
সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে দাবি করেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। তাকে লন্ডনের কথা বললে তিনি উত্তর দিচ্ছেন টোকিও। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, আজ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে: আবহাওয়ার খবর
এদিন আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চায় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পরও কেন তদন্ত এগোচ্ছে না তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর আগে রাজ্যকেও রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রাজ্য রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় আরও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। সব শেষে সিবিআই ও ইডিকে নতুন করে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ৩০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।