‘আদালতের নির্দেশের পরেও যারা চাকরি ছাড়েন নী, তাদের জেল ঘনিয়ে আসছে!’, হুঁশিয়ারি বিচারপতির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) নিয়ে ধুন্ধুমার দশা বঙ্গে। আগেই টাকার বিনিময়ে পাওয়া অযোগ্য প্রার্থীদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই নিয়েই আরও কড়াকড়ি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu)। যেসব অযোগ্য প্রার্থীরা এখনও পর্যন্ত ইস্তফা দেননি তাদের বিরুদ্ধে সিবিআইকে (CBI) পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

বুধবার গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই উপস্থিত সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বিচারপতি বলেন, “যারা ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পেয়েছে তাদের দায় কি কিছু কম?”

এদিন গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইস্তফা না দেওয়া অযোগ্য প্রার্থীদের সতর্ক করে ভরা এজলাসে বিচারপতি বসু বলেন, টাকাও যাবে, জেলেও যাবে। পাশাপাশি বুধবার আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, “যে OMR শিট বিকৃত করা হয়েছিল তাদের মধ্যে মোট ১৬৯৮ জনকে বেআইনিভাবে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছিল SSC। যার মধ্যে সুপারিশপত্র পৌঁছেছে ১৬৯৪ জনের কাছে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর বক্তব্যের পর বিচারপতি বসু সিবিআইকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘এই সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা করা হয়নি কেন? এদের নোটিশ পাঠান। তদন্তে গতি আনুন। ফৌজদারি বিধি অনুসারে এরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।”

high court

তার সংযোজন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদের ইস্তফা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরও যারা ইস্তফা দিয়েছেন। তবে যারা ইস্তফা দেননি তাদের কী করতে হয় তা আমরা জানি।” এরপর সেইসব চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, “যে ১৬৯৮ জনের কাছে সুপারিশপত্র গিয়েছে তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে টাকাও যাবে জেলেও যাবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর