বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিনেমা-সিরিয়ালে আমরা অনেক সময় দেখেছি যে আইনজীবী বা বিচার কক্ষে উপস্থিত অন্যান্যরা বিচারপতিদের মাই লর্ড নামে সম্বোধন করে থাকেন। তবে এই মাই লর্ড (My Lord) শব্দটির অর্থ কী আপনি জানেন? ভারতে কীভাবে বিচারপতিদের মাই লর্ড (My Lord) নামে সম্বোধন করার প্রথা চালু হল? সে সবকিছু জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনে।
বিচারপতিদের মাই লর্ড (My Lord) নামে সম্বোধন
আইনজীবী সহ অন্যান্য বিচার কর্তারা ভারতের বিচারপতিদের মাই লর্ড (My Lord) নামে সম্বোধন করে থাকেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে অনেক বিচারপতি মাই লর্ড (My Lord) সম্বোধনে আপত্তি তুলেছেন। বিচারপতি নরসিংহ একবার বলেছিলেন, মাই লর্ড এর পরিবর্তে স্যার ব্যবহার করা সমীচীন। এছাড়াও অতীতে অনেক বিচারপতি মাই লর্ড, লর্ডশিপ বা ইওর অনার সম্বোধনগুলিতেও আপত্তি তুলেছিলেন।
বিচারপতিদের বক্তব্য, এই সম্বোধনগুলি ঔপনিবেশিকতার ছাপ বহন করে। ব্রিটিশ আমল থেকে বিচারপতিকে মাই লর্ড বলার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ইংল্যান্ডে হাইকোর্টের বিচারকদের ‘মাই লর্ড’, সার্কিট বিচারকদের ‘ইওর অনার’ এবং ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকদের ‘ইওর ওয়ার্কশপ’ নামে সম্বোধন করা হয়ে থাকে। তথ্য বলছে, যখন ব্রিটিশরা ভারতে আসে তখন এদেশেও চালু হয় এই নিয়ম।
আরোও পড়ুন : প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়! হাইকোর্টের পাল্টা এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা, তোলপাড় রাজ্য
তখন থেকেই বিচারপতিদের মাই লর্ড বলার প্রথা চালু রয়েছে। যদিও ২০০৬ সালে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া একটি প্রস্তাব পাস করে এই ধরনের শব্দ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বলছে, ঔপনিবেশিক আমলে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হত। বর্তমানে স্বাধীন দেশে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তবে আদালত সংস্কৃতিতে এই শব্দগুলি এমনভাবে প্রবেশ করেছে যে এখনো এই ধারা প্রচলিত রয়েছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি আমেরিকায় প্রধান বিচারপতিদের সম্মোধন করা হয় মিস্টার বলে। অন্যান্য বিচারকদের বিচারক ও তাদের নাম ধরেই ডাকা হয়। বিচারকের নাম ভুলে গেলে ইওর অনার সম্মোধন করা যেতে পারে। সিঙ্গাপুরে বিচারপতিদের ইওর অনার বলা হয়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়াতেও বিচারপতিদের ইওর অনার নামে সম্বোধন করা হয়।