‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি আর একা সামলাতে পারছেন না’, ভরা এজলাসে বসেই মন্তব্য বিচারপতির

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চারপাশে এতই দুর্বৃত্ত, যে তা আর একা সামল দিতে পারছেন না দিদি। হাইকোর্টে (High Court) নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) এক মামলায় এমনটাই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে একেবারে জেরবার রাজ্যসরকার। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে পর্ষদ সভাপতি। বুধবার আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) নামে দুখানা বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে বলে জানায় সিবিআই (CBI)। এই শুনে বিস্মিত হয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, এটা কী করে সম্ভব? তাঁর মন্তব্য, ‘ছি ছি ছি ছি! এটা কী হচ্ছে!’

এরপর মানিক প্রসঙ্গ টেনেই ভরা এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করে বলেন , ‘‘দিদি একা আর সামলাতে পারছেন না। চারপাশে এত দুর্বৃত্ত থাকলে তিনি সামলাবেন কী করে?’’ সাথেই এই প্রসঙ্গে ‘হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে!’ এই গানটি স্মরণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন মানিকের দুখানা পাসপোর্ট আছে শুনে, বিচারপতি সিবিআইকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য কতবার লন্ডনে গিয়েছেন? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন?’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি, শুনবেন? লন্ডনে তার বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন ? আমি জানি।’ এরপর মানিককে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘‘মানিক ভট্টাচার্য এখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি, এটা লজ্জার বিষয়। অর্থাৎ, তিনি ফিরে এসে আবার এ সব শুরু করবেন। রাজ্যটা কি এ ভাবে নষ্ট হয়ে যাবে?’’

justice ganguly

এদিন সিবিআই তরফে আদালতে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই কিছু এসএমএস হাতে এসেছে তাদের। পাশাপাশি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যর কাছ থেকে কিছু সূত্রও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা উদ্ধার করেছে বলে এদিন আদালতে জানায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, গতকালই সিবিআই এর তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সিটের থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এদিন উদ্ধার করা তথ্য এসএমএস বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করা পর্যন্ত সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ স্থগিত রাখার নির্দেশ জানান। কিন্তু, নিজের সিদ্ধান্তে অটল রইলেন বিচারপতি। এদিন স্পষ্ট বার্তায় জানালেন নির্দেশে কোনও পরিবর্তন করা হবে না।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X