বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তারপর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগে জর্জরিত তিনি। অন্যদিকে এদিন ২০১৬ সালের টেট দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে। সেখানেই একটি সংস্থার সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যর প্রেম নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার ২০১৬ দুর্নীতি মামলার এক শুনানিতে তৎকালীন পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে ডেকে পাঠান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তাকে ২০১৬ সালের টেট পরীক্ষায় অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ না হওয়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতির প্রশ্নে রত্না বলেন, সেই সময় তার হাতে কোনো ক্ষমতা ছিল না। সবকিছুই পর্ষদ সভাপতির নির্দেশে চলত।
রত্নার বয়নেই উঠে আসে এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির (S. Basu Roy & Co) নাম। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ওএমআর শিট সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। যেই সংস্থার সাথে শুধুমাত্র পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরই যোগাযোগ ছিল। রত্নার দাবি শুনেই কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতির মন্তব্য, ‘এই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের এত প্রেম কীসের? আপনারা জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসা করুন। খুঁজে দেখুন, এদের নিয়োগের আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কিনা!’
শুধু তাই নয়, এরপর সিবিআইয়ের আইনজীবী কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে বিচারপতি রেগে বিচারপতি বলেন, , ‘এবার যদি আপনারা কাজ না করেন তাহলে আপনাদের জন্যে খুব খুব বাজে সময় আসতে চলেছে। আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি। শুধু লর্ড শিপ, লর্ডশিপ! কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম। কী হচ্ছে? সারা পশ্চিমবঙ্গবাসী অপেক্ষা করে আছে আর ইয়ার্কি হচ্ছে? আমি এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।’