বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি (Justice Joymalya Bagchi)। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তাঁকে একডাকে চেনে সবাই। একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন তিনি। এবার সেই জাস্টিস বাগচিই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন। আগামী ২০৩১ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন এই বাঙালি বিচারপতি। এবার তিনিই বিদায়ী ভাষণে নিজের বিচারপতি জীবনের নানান অজানা কাহিনী ভাগ করে নিলেন।
‘ডাক্তার না উকিল’! স্কুল জীবনে দ্বন্দ্বে ভুগতেন বিচারপতি বাগচি (Justice Joymalya Bagchi)
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে জাস্টিস বাগচির শেষ দিন ছিল। সেদিন নানান বিষয়ে বিষয়ে কথা বলেন তিনি। শেয়ার করেন বহু অজানা কাহিনী। বিদায়ী ভাষণে বিচারপতি বাগচি বলেন, ‘জন্মসূত্রে আমি নবদ্বীপের বাসিন্দা। বাবা ছিলেন আইনজীবী, মা ছিলেন ডাক্তার। সম্পূর্ণ স্কুল জীবনে আমার এই ভেবে দ্বন্দ্বে কেটেছে যে আমি একজন ডাক্তার হব নাকি একজন আইনজীবী’।
জাস্টিস বাগচি (Justice Joymalya Bagchi) জানান, তাঁর গোটা স্কুল জীবন অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্যে কেটেছে। তবে বাস্তব জীবন সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করেছে আইন কলেজ। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে এই বিচারপতি বলেন, তাঁর থেকে আমি নানানভাবে সহযোগিতা পেয়েছি।
আরও পড়ুনঃ শনিতেই মেগা বৈঠক অভিষেকের! আমন্ত্রিত কারা? সামনে বড় আপডেট
বিদায়ী ভাষণে বিচারপতি বাগচি জানান, তিনি দেওয়ানি মামলা দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে ক্লায়েন্টরা তাঁকে ফৌজদারি মামলায় বেশি পছন্দ করতেন। এদিন অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টেও কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি। জাস্টিস জয়মাল্য বাগচি বলেন, ‘যখন আমায় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছিল, তখন সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে গিয়ে পড়েছিলাম’।
২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাস্টিস জয়মাল্য বাগচি। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমায় আইনজীবী হিসেবে তৈরি করা ও পরবর্তীতে বিচারপতি হিসেবে এই হাইকোর্টেই আমার দীর্ঘদিন কেটেছে। আমরা কবিতা লিখি না, আমরা জাজমেন্ট লিখি। তাই সেই ক্ষেত্রে আইনের প্রাধান্যটা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হয়। আমি জানি, মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট সাম্প্রতিককালে দেশের তৃতীয় হাইকোর্ট হিসেবে নজির তৈরি করেছে’।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি (Justice Joymalya Bagchi) এদিন বলেন, ‘আইনজীবীর সম্পর্কই বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা। প্রকৃত বিচার প্রক্রিয়ায় সেটাই প্রতিফলিত হয়। আদালতে প্রকৃত বিচারের ক্ষেত্রে আদালতের কর্মীদের প্রচুর ভূমিকা রয়েছে’।