বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইনজীবীদের রোষের মুখে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বিচারপতির এজলাস বয়কট (Session Boycott) করা শুরু করলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তার জেরেই কী এই বয়কট! উঠছে প্রশ্ন। নজিরবিহীন এই ঘটনায় হতবাক সক্কলে। অন্যদিকে এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের সেসব আইনজীবীদের তৃণমূলপন্থী বলে মনে করছেন অনেকেই।
সোমবার বিচারপতি ১৩ নম্বর এজলাসে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বসার কথা ছিল। তবে এদিন দেখা যায়, আদালতের আইনজীবীদের একাংশ সেই দরজা আগলে বিচারপতিকে বয়কট করার ডাকে সামিল হয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিয়ে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি টুইট করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজুজুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তরুণজ্যোতির স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দান করায় বিচারপতির কাজে বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল।
TMC legal cell is boycotting Court no. 13 again.They are restraining lawyers to enter into the court.
TMC wants to restrain Justice Rajasekhar Mantha from passing any order against State Government of West Bengal. @KirenRijiju ji please see. In this way Judiciary can't run. pic.twitter.com/AadeI99MoL
— Tarunjyoti Tewari (@tjt4002) January 9, 2023
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেইমত প্রদান করেছিলেন রক্ষাকবচ। এরপরেই বিচারপতির বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করে শাসক দলের একাংশ। এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সাধারণ মানুষ বিপদে আপদে পড়লে বলে যে আমি আদালতে যাব। আর শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায় উনি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে যাবেন। কেন? কী জন্য?”
শুধু তাই নয়, কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ” পুলিশের বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর এই বেপরোয়া মনোভাবের জন্য একমাত্র দায়ী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এমনকী বিভিন্ন মামলায় শুভেন্দুকে আগাম রক্ষাকবচ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কী করে হয়? উনি কি জ্যোতিষী?”
পূর্বে কলকাতা হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে সরাসরি এমন সমালোচনা কোনও রাজনৈতিক দলের মুখে শোনা যায়নি। সেদিক থেকে বিচার করলে এই ঘটনা যে একেবারেই নজিরবিহীন তা বলাইবাহুল্য।