বাংলাহান্ট ডেস্ক : খলিস্তানি নেতা হরিপাল সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে কানাডা প্রশাসন। উপরন্তু নিজ্জর খুনের দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপরে চাপানোয় আরোই বিপাকে পড়েছে জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সরকার। এবার নিজের দেশের আধিকারিকদের ‘দুষ্কৃতী’ বলে আরোই বিতর্ক বাড়ালেন কানাডা প্রধানমন্ত্রী।
কী বললেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)?
ক্ষুব্ধ ট্রুডো (Justin Trudeau) বলেন, দুর্ভাগ্যবশত অত্যন্ত গোপন তথ্যও দুষ্কৃতীরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে ফাঁস করে দিচ্ছে। আর তা থেকেই প্রকাশিত হচ্ছে ভুল রিপোর্ট। কানাডার প্রশাসনে বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তদন্ত চলছে। আসলে কিছুদিন এর আগে কানাডার এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে হত্যার ছক করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর বিষয়টি জানা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের।
কী বলা হয়েছিল রিপোর্টে: রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছিল, কানাডা সরকারের তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। আর সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় চটেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তারপরেই তাঁর এই বক্তব্যে অনেকে মনে করছেন, নিজের সরকারি আধিকারিকদেরই ‘দুষ্কৃতী’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি।
আরো পড়ুন : NCC দিবসে বিবেকানন্দের জন্মদিনের বিশেষ ঘোষণা! “মন কি বাত”-এ তরুণদের কি বার্তা দিলেন মোদী?
বিবৃতিতে উলটো দাবি কানাডার: সম্প্রতি এই মর্মে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয় প্রিভি কাউন্সিলের তরফে। সেখানে বলা হয়, দেশে বেশ কিছু অপরাধমূলক কার্যকলাপের জেরে গত ১৪ ই অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফে ভারতীয় দূতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। তবে দেশের তৎকালীন আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল কানাডা সরকার। তবে সেই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জড়িত থাকার কোনো উল্লেখ বা প্রমাণই পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন : বয়সে ঢের বড় ‘দিদিমণি’র সঙ্গে প্রেম! সপ্তর্ষির সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য, সোহিনীর প্রথম স্বামীর পরিচয় জানেন?
প্রসঙ্গত, নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। গত বছরের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সুরেতে গুরুদ্বারার সামনে খুন হন খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় নয়াদিল্লির দিকে আঙুল তুলেছিলেন জাস্টিন ট্রুডোও (Justin Trudeau)। পরবর্তীকালে কানাডার সংবাদ মাধ্যমের ওই রিপোর্ট খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি।