বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোর আগে হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি, আর ঠিক তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল। আর এর জেরে কাজ হারালেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। পুজোর আগে কর্মহারা এই শ্রমিকদের মাথায় হাত। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন 4000 শ্রমিক।
এর আগেও প্রায় দীর্ঘ দু’বছর ধরে চন্দননগরের এই জুটমিলের তালা খোলেনি। দীর্ঘকালীন বন্ধ থাকার পর গত ছয় মাস আগে সবেমাত্র খুলে ছিল এই জুট মিল। শ্রমিকেরা সেখানে কাজও করছিল ঠিকঠাক। সব ঠিকই ছিল কিন্তু বাধ সাধলো একটি নোটিশ।
সোমবার জুট মিলের মালিক পক্ষ থেকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিসে স্পষ্টভাবেই জানানো হয় যে এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় পাটের যোগান কম, আর তাই পাটের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। আর এই কারণেই জুট মিলের মালিক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে জুট মিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এই নোটিসের জেরে জুট মিল ঘিরে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে এই জুটমিল বন্ধ হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর , ধরে দু’বছর পরে বিগত ছয় মাস ধরে এই কারখানায় কাজ চলার পর হঠাৎই জুটমিল বন্ধ থাকার নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। বাম শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধ থাকার জন্য চন্দননগরের উপশ্রম দপ্তরে কারখানা খোলার জন্য বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে শ্রমিকরা। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন রকমের পোস্টার। সৃষ্টি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
এদিকে কারখানা বন্ধ থাকার দরুন চরম সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন শ্রমিকরা। পুজোর আগে তাদের সংসার খরচে পড়েছে টান। সংসার খরচসহ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কিভাবে চলবে সেই নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শ্রমিকেরা। বাধ্য হয়ে অন্য কাজ খুজতে হচ্ছে তাদের । শ্রমিকদের দাবি, ” অবিলম্বে কারখানা চালু করতে হবে। মালিক সঞ্জয় কাজুরিয়া শ্রমিকদের সঙ্গে এটা অন্যায় বঞ্চনা করছেন।”
বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতা হীরালাল বলেন , ” পাটের দাম বেড়েছে বলে মিল বন্ধ করা হয়েছে , এটা অজুহাত মাত্র , আর কিছুই না , নয়টা ইউনিয়ন মিলে জুটমিলের সামনে বিক্ষোভ সব করা হয়েছে। সঞ্জয় কাজোরিয়া মিল খুলবেন না আমরা টা জানি, আর সেই জন্য আমাদের বিক্ষোভ চলবে।”