বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক ঝটকা খাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই মামলাতেই বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। এবার তাঁর নয়া কীর্তি ফাঁস করল তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দাবি করা হয়েছে, ভগবানের মতো নাকি বালুর অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হতো ‘প্রণামী’!
নয়া কীর্তির জেরে আরও বিপাকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী (Jyotipriya Mallick)?
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সম্প্রতি এই কাণ্ডে দেগঙ্গার ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আনিসুর রহমান এবং তাঁর ভাইকে গ্রেফাতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য হাতে এসেছে বলে খবর। এই আবহে এবার জানা গেল, রেশন কাণ্ডে নাকি নানান সময়ে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকত।
ইডির দাবি, কখনও ৫ লক্ষ, কখনও ১০ লক্ষ, কখনও আবার ২০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সাংকেতিক কিংবা অসম্পূর্ণ নামে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকাগুলি জমা করা হতো বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল অবধি এই ‘লেনদেন’ চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি নগদের মাধ্যমেও টাকা জমা করা হতো বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জাতপাত দেশকে এককাট্টা করে রেখেছে! RSS মুখপত্রের দাবিতে শোরগোল দেশে!
এই প্রসঙ্গে ইডির (Enforcement Directorate) এক অফিসার বলেন, ‘কখনও ৫, কখনও ১০, কখনও ২০ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা করা হয়েছে। এভাবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে। যারা এই টাকা জমা করেছেন তাঁদের অনেকে শুধু নাম রয়েছে, পদবী দেওয়া নেই। এতদিন মূলত সিন্ডিকেটের দ্বারা কেন্দ্রের ন্যায্য মূল্যের রেশন দ্রব্য খোলা বাজারে বিক্রির তথ্য উঠে এসেছে। ভুয়ো নথি দেখিয়ে রাজ্যের ধান কেনার সহায়ক মূল্যও লোপাট হতো। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, এই কাণ্ডের সঙ্গে ছোট রেশন ডিলাররাও জড়িত। যারা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে টাকা দিতেন’।
গোয়েন্দাদের দাবি, এখনও অবধি বেশ কয়েকজন রেশন ডিলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও প্রায় ৬০-৭০ জন এমন ডিলার রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে সম্প্রতি এই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ইডি স্ক্যানারে উঠে এসেছে ‘মনাদা’ নামের একজন ব্যক্তি। তিনি বালুকে (Jyotipriya Mallick) সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।