বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি নিয়ে ফের তোলপাড় রাজ্য। ফের একবার কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সপ্তাহেই রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আনিসুর রহমান ও আলিফ নুর। দুজনাই রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ। আর এবার সামনে আসছে জ্যোতিপ্ৰিয় (Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ ‘মনাদা’র নাম।
জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ‘মনাদা’র (Jyotipriya Mallick)
আগেই ইডি জানিয়েছে ধৃত আলিফ নুর ওরফে ওরফে মুকুলের কাছে টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, সেই টাকার লেনদেনের সম্পর্কের খোঁজ করতে গিয়েই ‘মনাদা’র নামটি উঠে এসেছে। এই ‘মনাদা’জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুকে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণ মিলেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির।
কে এই ‘মনাদা’? এবার এর আসল পরিচয় জানতে তৎপর ইডির গোয়েন্দারা। তার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কীভাবে পরিচয়? কেনই বা জ্যোতিপ্রিয়কে ওতো টাকা দিলেন, এবার সেই রহস্যের পর্দাভেদ করতে চাইছে গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত বৃহস্পতিবার দিনভর জেরা ও তল্লাশির পর মধ্যরাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন দেগঙ্গার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশ ও তার ভাই আলিফ নুর ওরফে মুকুল।
ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) হিসেব রক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ডিজিটাল প্রুফ পাওয়া গিয়েছে। যেখানে একটি ফোল্ডারে এই বিদেশ ও মুকুলের নামের উল্লেখ ছিল। ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও আনিসুর রহমানের সিএ-র স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে কম্পিউটার থেকে ‘ই এইচ গ্রুপ অফ কোম্পানি’র ২০২১ থেকে ২০২২ সালের ব্যালান্স শিট তাদের হাতে এসেছে।
সেই ব্যালান্স শিটের সূত্র ধরে ‘ই এইচ’দিয়ে শুরু পাঁচটি সংস্থা ‘গ্রিনিশ’,’সেন্টার অ্যান্ড মার্ট’,’ইঞ্জিনিয়ারিং’,’পিকাসো’ ও ‘গ্রিনরাশ’ এর সন্ধান মেলে। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ওই সবকটি সংস্থার ঠিকানা কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে। আর সংস্থারগুলির কর্ণধার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কাদের কাদের চাকরি যাচ্ছে? SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড়, সামনে ‘অযোগ্য’দের নাম
উদ্ধার হওয়া ব্যালান্স শিটের তথ্য ঘেঁটে ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র ওই পাঁচটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে নগদে ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জমা পড়েছিল। যার মধ্যে আলিফ নুর মারফত ওই ‘ই এইচ’ সংস্থাগুলিতে জমা পড়েছে ৯৪ লাখ টাকা। আর ‘মনাদা’র মাধ্যমে নগদে জমা পড়েছিল সাড়ে ১১ লাখ টাকা। এবার এই আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে পরবর্তীতে রেশন দুর্নীতি কোন নতুন মোড় নেয় সেটাই দেখার।