বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের চর্চায় কবীর সুমন (Kabir Suman)। এক বেসরকারি চ্যানেলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তিনি। বেশ কয়েক মাস আগে এক বেসরকারি চ্যানেলের তরফে সুমনের সাক্ষাৎকার নিতে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ উঠেছিল, ওই সাংবাদিককে এবং সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন কবীর সুমন।
সেই কথোপকথন অডিও ক্লিপ হিসাবে ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে। কবীর সুমন অভিযোগ করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই ফোনকল রেকর্ড করা হয়েছিল যা বেআইনি। তাই ওই বেসরকারি চ্যানেল এবং সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন সুমন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘রিপাবলিক টিভির সম্পাদক এবং এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলা করেছি। মাননীয় আদালত তাঁদের নামে শমন জারি করেছেন। তাঁদের আদালতে হাজির হতে হবে নভেম্বর মাসের একটি দিনে।
কাউকে টেলিফোন করে সেই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর কথা, তা সে স্তুতিবাক্যই হোক, প্রেমের কথাই হোক আর বাপমা-তোলা গালাগালই হোক, বিনা অনুমতিতে রেকর্ড করা আইনবিরুদ্ধ। রিপাবলিক টিভি ও তাঁদের রিপোর্টারের তা জানার কথা। তাঁরা সব জেনেশুনেই আমার কথা রেকর্ড করে সোশাল মিডিয়ায় ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।
এই কাজটা যে সম্পূর্ণ বে-আইনি তা জেনেও এই সমাজ ও রাজ্যের অনেক নামজাদা ব্যক্তি আমায় ফেসবুকে এবং হোয়াটস্যাপে আক্রমণ করেন। আমি কিন্তু আমার কথাগুলি রাস্তায় রাস্তায় বা জনসমাবেশে বা সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করে বেড়াইনি। সেই রিপোর্টারকে বলেছিলাম ব্রডকাস্ট করতে। ব্রডকাস্ট করার অর্থ বেতারে ও টেলিভিশনে প্রচার করা। বিনা অনুমতিতে চোরের মতো অডিও রেকর্ড করে তা ইন্টারনেটে, ফেসবুকে, হোয়াটস্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া ব্রডকাস্ট করা নয়।
আমার অনুমতি না নিয়ে অর্থাৎ বে-আইনিভাবে যে কলটি রেকর্ড করে সোশাল মিডিয়ায় ও ইন্টারনেটের সর্বত্র ছড়ানো হয় তার ভিত্তিতে একটি বিশেষ দলের প্রতিনিধি এবং আরো কেউ কেউ আমায় পোটেনশিয়াল রেপিস্ট বলতে থাকেন এবং আমাকে শারীরিক আক্রমণ করার ডাকও দেন। এই সবকিছুরই প্রমাণ আমার আইনজ্ঞদের কাছে আছে।’
উল্লেখ্য, অডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে পড়ার পর মুখ খুলেছিলেন কবীর সুমন। ফেসবুক পোস্টে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে ওই কণ্ঠস্বর তাঁরই ছিল এবং তিনি যা করেছেন, তা দরকার পড়লে আবারো করবেন। এমনকি ওই বেসরকারি চ্যানেলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কবীর সুমন।
প্রসঙ্গত, এদিন, ৩০ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েক বছর পর বাংলা গানের একক অনুষ্ঠান করতে চলেছেন কবীর সুমন। সেকথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই মাপের অনুষ্ঠান এটাই সম্ভবত শেষ। বাংলা খেয়ালের জন্য বেঁচে আছি। আধুনিক গান আমি এখনও বাঁধি। কিন্তু এত বড় মাপের আধুনিক গানের একক আর বোধহয় পেরে উঠব না। মিশ্র হতে পারে। বাংলা খেয়ালের সঙ্গে, যেমন। বা, আমার স্মৃতি থেকে গানের পর গান। এখনও খাতা না দেখে। অন্য সুরকারদের রচনা।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘কেউ কেউ কি চেষ্টা করবেন আমায় বিরক্ত করতে, উত্যক্ত করতে, হলে বিশৃংখলা ঘটাতে? কী লাভ। আমাকে ওভাবে শেষ করা যাবে না। তার চেয়ে বরং শুনুন একটা তিয়াত্তুরে বুড়ো এখনও কী করতে পারে সঙ্গীতে।’