বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাকে গালিগালাজ ইস্যুতে এবার ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন। দিনকয়েক আগে একজন সাংবাদিক এর সঙ্গে ফোনালাপ চলাকালীন অতীব কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বাংলা এবং বাঙালীদের গালিগালাজ করেন গায়ক তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন। এই ফোন কলের রেকর্ডিং সামনে আসতেই কার্যত তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ একটি ট্যুইট করে জানান, ‘এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত’। বিজেপির তরফেও দায়ের হয় একাধিক অভিযোগ।
এর পরই এবার ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন। তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘ভেবে দেখলাম সে দিন টেলিফোনে এক সহনাগরিককে যে গাল দিয়েছিলাম, সেটা সুশীল সমাজের নিরিখে গর্হিত কাজ। এতে কাজের কাজ কিছু হল না, মাঝখান থেকে অনেকে রেগে গেলেন, উত্তেজিত হলেন। এমনিতেই করোনার উৎপাত তার উপর ফোনে গালমন্দ—লাভ কী। তাই আমি সহনাগরিকের কাছে, বিজেপি আরএসএস-এর কাছে এবং বাঙালিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার খিস্তিতে যাঁরা দুঃখ পেয়েছেন, ক্রুদ্ধ হয়েছেন, আমাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই শীতের রাতটা হয়তো না ঘুমিয়ে কাটাবেন, তাঁদের সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের যদি ভাবতে ভালো লাগে আমি ভয় পেয়ে এটা লিখছি তো তাইই ভাবুন। যেটা ভাবলে আপনাদের মন ভালো হয়ে ওঠে সেটাই ভাবুন।’
পুলিশকে উদ্যেশ্য করে কবীর সুমনকে লিখতে দেখা যায়, ‘আইনরক্ষীরা নিশ্চিন্ত থাকুন। আমি চেষ্টা করব সব ব্যাপারে একদম চুপ থাকতে। আর কোন কোন ব্যাপারে কে কে আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করছেন বা করবেন বলে ভাবছেন দয়া করে একটি তালিকা বানিয়ে ডাকযোগ পাঠান। আমি নতমস্তকে সম্মতিসূচক সই করে দেব।
সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপে ওই বিতর্কিত মন্তব্যের পর স্বভাবতই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। তাঁর বিরুদ্ধে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। কবীর সুমনের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ এনেছেন তিনি। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কবীর সুমনের শাস্তি দাবী করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে কলম ধরেন কবি শ্রীজাত। সেখানে অবশ্য সুমনের গানকেই অস্ত্র করে গায়ককে ভুল বোঝাতে চেয়েছেন কবি।যদিও এত কান্ডের পর সুমনের এই ফেসবুক পোস্ট আগুনে জলের বদলে ঘি ঢালল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।