বাংলাহান্ট ডেস্ক: সপ্তাহ কয়েক আগে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay) পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়ায় যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, বর্ষীয়ান গায়িকার প্রয়াণে সেটাই আরো বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম উঠে এসেছিল গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। এটা প্রবীণ গায়িকাকে ‘অপমান’ বলেই মনে করেছিলেন সঙ্গীত জগতের অধিকাংশ শিল্পীরা।
পদ্মশ্রী ফিরিয়েও দেন গায়িকা। তার দুদিন পরেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি হন হাসপাতালে। সে সময়ে কেন্দ্রের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কবীর সুমন (Kabir Suman)। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই অবস্থার জন্য সরকারকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। মন কু ডেকেছিল তাঁর।
কবীর সুমনের ভয়টাই সত্যি হল। ধরে রাখা গেল না গীতশ্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা, ক্ষোভ উপচে পড়েছে কবীর সুমনের বার্তায়। না, শোকবার্তা তিনি দেননি। বরং ‘হিন্দুত্ববাদী’দের কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ করেছেন গায়ক। তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দি হিন্দুত্ব হিন্দিয়াবাদীরা সফল। বাংলার সুরসম্রাজ্ঞীকে অপমান করে তাড়ানো গ্যাছে।’
গত মাসের শেষে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমকে কবীর সুমন জানিয়েছিলেন, এই ভয়টাই তিনি পাচ্ছিলেন। সঙ্গীত শিল্পী বলেন, সেদিনের পর থেকে তিনি এই ভয়টাই পাচ্ছিলেন। বয়স হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। এত বড় ধাক্কাটা তিনি কীভাবে সামলাবেন সেটা নিয়েই চিন্তিত ছিলেন সুমন। তাঁর দাবি, ইচ্ছা করে জেনে শুনেই অপমান করা হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। তিনি এত বড় মাপের একজন শিল্পী। নিজের সারাটা জীবন দিয়ে গানের সাধনা করেছেন।
সোনু নিগম আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় দুজনকেই পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে। অথচ রশিদ খান পাচ্ছেন পদ্মভূষণ! প্রভা আত্রেকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মবিভূষণ! এটা কেন্দ্রের সরকার ইচ্ছা করে করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কবীর সুমন। কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘বেহায়া’ বলে কটাক্ষ করে ‘জুতোপেটা’ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।