‘মমতার সঙ্গে…’, কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন? এবার সবটা ‘ফাঁস’ করলেন কবীর সুমন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সঙ্গীত থেকে শুরু করে রাজনীতি, দুই দুনিয়ারই পরিচিত মুখ কবীর সুমন (Kabir Suman)। একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সহযোদ্ধা’ ছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদও হন। এখন অবশ্য তাঁর কাছে গানই সব! সম্প্রতি ৭৫ বছরে পা দিয়েছেন এই খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী। এমতাবস্থায় তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।

সম্প্রতি জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেন কবীর সুমন। সেখানেই নিজের একদা ‘সহযোদ্ধা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিয়ে কথা বলেন তিনি। উঠে আসে তাঁদের মতবিরোধের প্রসঙ্গও। এদিন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘বাংলায় খেয়াল নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে, এখনও কাজ হয়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি নিজে এই বিষয়ে আবেদন করি। বাংলা খেয়ালের ৪টি ওয়ার্কশপ করার সুযোগ করে দেন উনি। এর মধ্যে ২টি হওয়ার পর করোনা চলে আসে’।

এরপরেই কবীর সুমনের কথায় উঠে আসে তাঁদের মতবিরোধের প্রসঙ্গ। সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘আমি মমতার সহযোদ্ধা ছিলাম। কিন্তু অনেকবার মমতার সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে। ওঁকে নিয়ে আমি গান বানিয়েছিলাম। সেই গানে প্রতিবাদ-স্যাটায়ার সব ছিল। উনি কিন্তু সেটার প্রতিবাদ করেননি অথবা প্রতিশোধ নেননি’।

আরও পড়ুনঃ দুধ ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটার! সামলাতেন TMC কাউন্সিলরের ব্যবসা, ধৃত ওয়াসিমকে নিয়ে তথ্য ‘ফাঁস’

এখানেই না থেমে কবীর সুমন বলেন, যদি আগের সরকার থাকতো তাহলে হয়তো তাঁকে এখানে থাকতে দিত না, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘আমি ওঁকে বলেছিলাম আমার পরীক্ষা নেওয়ার কথা। আমি জানি কিনা দেখো। তাও উনি আমাকে এই ওয়ার্কশপের সুযোগ করে দিয়েছিলেন’।

mamata banerjee kabir suman

এদিনের সাক্ষাৎকারে প্রেম নিয়েও কথা বলেন কবীর সুমন। সঙ্গীতশিল্পী স্পষ্ট জানান, প্রেম চলে গিয়েছে বলে তিনি মানেন না। তবে অভিব্যক্তির বদল ঘটেছে একথা স্বীকার করে নেন তিনি। কবীর সুমনের কথায়, ‘এখনও আমি নিয়মিত প্রেমে পড়ি। এমনকি অল্পবয়সীরাও হামেশাই এই বুড়োর প্রেমে পড়ে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর