বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দল বদলের রাজনীতি। আর এই দল বদলের রাজনীতিতে সবথেকে বেশি প্রভাবিত শাসক দল তৃণমূল। ইতিমধ্যে শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতা, একজন মন্ত্রী এবং কজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও হাজার হাজার কর্মী সমর্থক নাম লিখিয়ছেন গেরুয়া শিবিরে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে ভাঙন রুখতে তৎপর তৃণমূল। কিন্তু রোজই দলের, নেতা, বিধায়ক, সাংসদ বেসুরো হয়ে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন।
আজই তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় বেসুরো হয়ে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ‘যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী ১৬ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।” শতাব্দী রায় কি সিদ্ধান্ত নেন, সেটা শনিবারের আগে জানতে পারছি না আমরা। এছাড়াও দুর্গাপুর পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পরিয়াল দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে বিজেপির মহাসচব কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আজ বিজেপির মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘তৃণমূলের ৪১ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তাঁরা সবসময় আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। দলের যাতে কোনও ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেই দিক থেকে আমরা বেছে বেছে লোক নেব।” তিনি বলেন, এত বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলে তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে। আমরা এই মুহূর্তে সরকার ফেলতে চাই না।” তবে তৃণমূলের কোন কোন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, সেটা তিনি স্পষ্ট করে বলেন নি।
গতকাল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ হাওড়ার জনসভা থেকে দাবি করেন যে, তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। যদিও সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে, সৌমিত্র খাঁ একজন মিথ্যেবাদী, উনি এতবড় মিথ্যে কথা বলে কি করে কে জানে! আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি আর থাকব।