বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কাজল শেখ (Kajal Sheikh)। বীরভূম (Birbhum) তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘দলটা এখন লুটেপুটে খাওয়ার জায়গা হয়ে গিয়েছে। দলের শীর্ষস্থানে বসে লুটেপুটে খাওয়া আমি বরদাস্ত করব না। যারা ভাবছে ঠিকাদারি করে, অজয়ের বালি চুরি করে খাবে, কাজল শেখ তা হতে দেবে না। তোমরা সরে যাও, আমাকে যেন সরাতে না হয়।’
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন কাজল। এমনকি বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রত বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। এটা দু:সাহস ছাড়া আর কিই বা বলা যায়! তখন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলে চলে গিয়েছেন। মেয়ে সুকন্যাকে বুধবার দিল্লিতে ম্যারাথন জেরা করেছে ইডি। এই পরিস্থিতিতেই ফেসবুকে (Facebook) বিস্ফোরণ ঘটান নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা কাজল শেখ (Kajal Sheikh)। কাজলের ওই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কাজলের সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডলের সংঘাত বহু পুরনো। সেই বাম আমল থেকে। নানুরের এই নেতাটি ফেসবুকে দু’টি বাংলা প্রবাদবাক্য লিখেছেন। প্রথমে লিখেছেন, ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা, যদি না পড় ধরা’। তারপরেই লেখেন, ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’। কারও নাম না করলেও কাজলের এই ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই মনে করছিলেন, কেষ্টর উদ্দেশেই এসব লিখেছেন তিনি।
ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে রানা সিংহকে দলে নিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই সময় থেকেই কেষ্টর সংঘাত শুরু হয় কাজলের সঙ্গে। তারপর কেষ্ট-কাজলের বাহিনীর লড়াইয়ে বারবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে নানুর। অনুব্রত যেমন কাজলের গণ্ডি কেটে তাঁকে নানুরে বন্দি রেখেছিলেন, তেমন কাজল বাহিনী নানুরে অনুব্রতর প্রবেশ একরকম নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল একটা সময়ে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে কাজল ব্যতিক্রমী তৃণমূল নেতা। তাঁর গায়ে দুর্নীতির কোনও দাগ নেই। মাটির সঙ্গেও নিবিড় যোগ রয়েছে তাঁর। অনুব্রতহীন জেলায় কাজলের এই ফেসবুক টিপ্পনি ঘিরে তাই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে যায় সেই সময়। নানুরের বাইরে বেরিয়ে সংগঠন করার চেষ্টা করবেন কাজল।