বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে (Bollywood) যতজন ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী রয়েছেন তাদের মধ্যে কাজলের (Kajol) নাম না উল্লেখ করলে বড় ভুল হবে। পর্দায় যতই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করুন না কেন, বাস্তবে খুবই স্পষ্টবক্তা ব্যক্তিত্বের অধিকারিনী কাজল। মনের কথা মনে চেপে না রেখে স্পষ্ট বলে দিতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি, সে স্থান কাল পাত্র যাই হোক না কেন। নিজের এই স্বভাবের জন্যই এবার বিপদে পড়লেন অভিনেত্রী।
যেকোনো বিষয় নিয়েই সোজা সাপটা কথা বলেন কাজল। কিন্তু তাঁর মন্তব্য যে বিতর্কের জন্ম দিতে পারে সেটা ভেবে দেখা তাঁর স্বভাবের মধ্যে নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঝোঁকের মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে কাজলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এত উন্নতি সত্ত্বেও কিছু বিষয় মেয়েদের পেছনে টেনে ধরে রাখছে। এটা কি অভিনেত্রীকে কষ্ট দেয়? উত্তরে কাজল বলেন, ‘পরিবর্তন, বিশেষত ভারতের মতো একটা দেশে খুব ধীর গতিতে হয়। এটা খুবই ধীরে হচ্ছে কারণ আমরা নিজের সংষ্কৃতি এবং ভাবনায় ডুবে রয়েছেন। আর এতে শিক্ষারও একটা ভূমিকা রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই।’
এতটা বলেও থামেননি কাজল। তিনি ফের জোর দিয়ে বলেন, তিনি বলতে বাধ্য হচ্ছেন যে এমন অনেক রাজনৈতিক নেতাই রয়েছেন যাদের ওই দৃষ্টিভঙ্গিটাই নেই যেটা শিক্ষা থাকলে আসে। কাজলের এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য। সমালোচনা, রোষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। যে নিজেই পড়াশোনা শেষ না করে স্কুল ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁর মুখে শিক্ষা নিয়ে এসব কথা মানায় না।
বিতর্ক বাড়তেই আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাফাই দেন কাজল। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিছকই শিক্ষা এবং এর গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখছিলাম। কোনো রাজনৈতিক নেতাকে অসম্মান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এমন অনেক মহান নেতারা রয়েছেন যারা দেশকে সঠিক পথে নিয়ে চলেছেন’। যদিও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাজলের এই চেষ্টা তেমন কাজে আসেনি। এখনো ট্রোল চলছে অভিনেত্রীকে নিয়ে।