বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক প্রাচীন মন্দির। যেগুলির মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মন্দিরের বয়স ছাড়িয়ে গিয়েছে হাজার বছরের গন্ডী। যদিও, এত পুরোনো মন্দির হলেও আজও সেগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই। যার ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বহু ইতিহাসের সাক্ষী থাকা ওই মন্দিরগুলি আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ সময় এই মন্দিরগুলি সম্পর্কে একাধিক চমকপ্রদ কাহিনিও প্রচলিত থাকে। বর্তমান প্রতিবেদনেও আমরা ঠিক সেইরকমই এক মন্দিরের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি।
মূলত, আজ যে মন্দিরটির অবতারণা করা হবে সেটিকে “ভূতের মন্দির” হিসেবেও অভিহিত করা হয়। মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার সিহোনিয়া শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটির আসল নাম হল কাকনমঠ মন্দির। সিহোনিয়া থেকে প্রায় দুই কিমি দূর থেকেই এই মন্দিরটি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও, এই মন্দিরটি মাটি থেকে প্রায় ১১৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। তবে, মন্দিরটির কিছু অংশ বর্তমানে ভেঙে গিয়েছে।
ভগবান শিবের মন্দির:
এই প্রাচীন মন্দিরটি শিব মন্দির হিসেবে নির্মিত হয়। এই মন্দিরে প্রবেশের জন্য আপনাকে কয়েক ধাপ উপরে উঠতে হবে। তবেই আপনি শিবলিঙ্গ দেখতে পারবেন। এছাড়াও, মন্দিরে প্রবেশের পূর্বে দুই পাশে একাধিক স্তম্ভ দেখা যাবে। যেহেতু মন্দিরটি অত্যন্ত প্রাচীন তাই এটি খুব সহজেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
ভেঙে যাওয়া মূর্তি:
হাজার বছরের পুরোনো এই মন্দিরে আপনি সর্বত্র বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি দেখতে পাবেন। তবে সেগুলির মধ্যে অনেকগুলি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। মনে করা হয় যে, যুদ্ধের জন্য আসা বহু বিরোধী শাসক এই মূর্তিগুলিকে ভেঙে দেন। উল্লেখ্য যে, এই মন্দিরের বহু ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে গোয়ালিয়রের একটি যাদুঘরে রাখা আছে।
কাকনমঠ মন্দির কে নির্মাণ করেন?
জানা গিয়েছে, এই মন্দিরটি একাদশ শতকে কচওয়াহা রাজবংশের রাজা কীর্তি রাজ তৈরি করেছিলেন। মনে করা হয়, রাণী কাকনাবতী মহাদেবের একজন মহান ভক্ত ছিলেন। যেই কারণে এই মন্দিরটি রাণীর নামে নামাঙ্কিত হয়। পাশাপাশি, আবহাওয়াজনিত কারণেও এই মন্দিরের কিছু জায়গা আজ কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ভূতের মন্দির:
এই মন্দিরের সাথে একটি রোমাঞ্চকর ঘটনাও জড়িত রয়েছে। কথিত আছে, এই মন্দিরটি ভূতেরা মিলে এক রাতের মধ্যে তৈরি করেছিল। যদিও, মন্দিরটি তৈরি করতে করতে সকাল হয়ে যাওয়ার কারণে অসম্পূর্ণ অবস্থায় থেকে যায় এটি। যে কারণে, এই মন্দিরটিকে ভূতের মন্দিরও বলা হয়। এমনকি, আপনি যদি মন্দিরটির দিকে তাকান, তাহলে মনে হবে যে, সত্যিই মন্দিরটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। যদিও, ওই কাহিনির মধ্যে ঠিক কতটা সত্যতা রয়েছে তার কোনো সঠিক প্রমাণ মেলেনি।