বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই কোন না ভাবে ঠিক চোখে পড়ে যেত যে ভিডিওটি, তা হল ‘দামে কম মানে ভালো’ আর বলতে হবে কি? হ্যাঁ কাকলি ফার্নিচারের এই বিজ্ঞাপনী ভিডিও উঠে এসেছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই একদিকে যেমন বয়েছিল লাইকের বন্যা, তেমনি মিম আর্টিস্টরাও নানাভাবে ব্যবহার করেছিলেন এই ট্যাগলাইনটি।
অথচ তেমনভাবে ভিডিওটিতে কিছুই ছিল না। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল, দুটি বাচ্ছা মেয়ে কখনো দুলছে আরামকেদারায় কখনোবা লাফালাফি করছে বিছানার উপর। আর অনর্গল মুখে বলে চলেছে একটাই কথা ‘দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচার’ এইটুকু বিষয় নিয়ে কোন ভিডিও কিকরে এত জনপ্রিয় হয় তা হয়তো বলতে পারবেন না কোন পোড় খাওয়া ইউটিউবারও। কিন্তু ঐ যে কথায় বলে না কখন কি যে মনে লেগে যায়!
সে যাই হোক, যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তাই আসল মাপকাঠি। কিন্তু এবার এই অতি জনপ্রিয় তার জেরেই সমস্যায় পড়তে হলো এই বাংলাদেশি সংস্থা কাকলি ফার্নিচারকে। এর আগেও ভিডিও জনপ্রিয় হওয়ার পরেই একাধিক মিম তৈরি হয়েছিল কাকলি ফার্নিচারের ট্যাগলাইন নিয়ে। কিন্তু সেবার খেলোয়াড়ই মানসিকতা রেখেই একটুও বিরক্ত না হয়ে সমস্ত মিম নিজেদের পেজ থেকে শেয়ার করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার বড় সমস্যায় পড়লে তারা।
জানা গিয়েছে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে কাকলি ফার্নিচারের নামে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সংস্থার নিজস্ব ব্যবসা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে গাজিপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাকলী ফার্নিচারের চেয়ারম্যান সোহেল রানা। তাদের অভিযোগ, একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাদের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ফেসবুকে পেজ এবং প্রোফাইল তৈরি করছে। যার জেরে ভবিষ্যতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে তাদের ব্যবসা।
থানার আধিকারিক খন্দকার ইমাম হোসেন জানিয়েছেন, কাকলি ফার্নিচারের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করার রিপোর্ট এসেছে আমাদের কাছে। আগামী দিনে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সাইবারক্রাইম বিভাগকে বিষয়টি বিস্তৃতভাবে জানানো হয়েছে।