মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী পেলো বাংলা! নামলো স্বস্তির বৃষ্টি, কাল থেকে বদলে যাবে আবহাওয়া

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে নাজেহাল প্রতিটি মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে গরমের কারণে মানুষের মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে এবং এর মাঝে রাজ্য সরকার দ্বারা স্কুল-কলেজে গরমের ছুটি পর্যন্ত এগিয়ে আনা হয়েছে। তবে এর মধ্যেই এদিন গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল দক্ষিণবঙ্গ। মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী সহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিতে ভাসলো বাংলার একাধিক জেলা।

কিছুক্ষণ পূর্বেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় 40 থেকে 50 কিলোমিটার বেগে ঝড় এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আভাস দেয় আবহাওয়া দপ্তর। আর সেই অনুযায়ী বিকেল থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম এবং মেদিনীপুরের একাধিক স্থানে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। বিকেল হতেই এদিন বাঁকুড়ার একাধিক স্থানে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়। ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তেও থাকে।

এছাড়াও বর্ধমান এবং মেদিনীপুরের একাধিক স্থানে আবহাওয়া দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী বৃষ্টি শুরু হয়। বীরভূম থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিকেল হতেই বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এরপর প্রবল গতিতে ঝড়ের সাথে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ঝড়ের গতি এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, বেশকিছু দোকান সহ বাড়ির চাল পর্যন্ত উড়ে গেছে বলে খবর। তবে মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী পেয়ে স্বভাবতই খুশি সকল মানুষ।

এবার আসা যাক কলকাতার কথায়। বাংলার একাধিক জেলায় ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হলেও কলকাতার ভাঁড়ার শুন্য রয়ে গিয়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হতে শুরু করবে এবং রবিবার থেকে মঙ্গলবার এর মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে একাধিক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গা তথা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কার্শিয়াং এবং কালিম্পং-এও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর