পুজো থেকে বিসর্জন, সবই শেষ রাতের অন্ধকারে! অবাক লাগছে? সূর্যের মুখ দেখেন না এই মা কালী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে আর মাত্র দুটো দিন। তারপর বাংলার দিকে দিকে শুরু হয়ে যাবে কালীপুজো। বারোয়ারি থেকে শুরু করে গৃহস্থ, সর্বত্রই এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাংলার কালীপুজো (Kali Puja) নিয়ে রয়েছে নানারকম ইতিহাস। আজ সেরকমই একটি কালীপুজোর সম্পর্কে জানাতে চলেছি আপনাদের।

দেবীনগরের (Debinagar) এক কালীপূজা (Kali Puja)

দেবীনগরের (Debinagar) এক কালী মন্দিরে কালীপুজোর দিন বিশেষভাবে আরাধনা করা হয় দেবী কালীকে। সবথেকে অবাক করে দেওয়া ব্যাপার হল এখানকার মা কালী সূর্যের মুখ দেখেন না। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর শুরু হয় কালী পুজোর প্রস্তুতি। সূর্যাস্তের পর দেবীর মূর্তি তৈরি করে পুজো (Kali Puja) শুরু হয়।

আরোও পড়ুন : রাম মন্দিরে প্রথম দীপাবলি, উৎসবের আগেই ১ কোটি দিলেন অক্ষয়! মানুষের জন্য নয়, তবে?

পুজোর পর সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয় দেবীকে। দেবীনগরের এই কালী মন্দিরটির গঠনও বেশ আলাদা। মন্দিরের উপর থাকে না কোনও ছাদ। মন্দিরের চারদিকে দেওয়াল থাকলেও নেই কোনো আচ্ছাদন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এই দেবী কালী খুবই জাগ্রত। দেবীরূপে এখানে পুজো করা হয় বেদীকেই।

1000140407

উত্তর দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা কালীপুজোর দিন ছুটে আসেন এখানে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে সূর্যাস্তের পর পুজো ও সূর্যোদয়ের আগে বিসর্জনের রীতি চলে আসছে এখানে। জানা যায়, একদল ডাকাত দেবীনগরের এই স্থানে গাছের তলায় মা কালীর পুজো করত।

দিনাজপুরের জমিদার এখানে পুজো দিতে যেতেন মাঝেমধ্যেই। একবার পুজো সেরে ফেরার সময় আটকে পড়েন এখানে। মায়ের কাছ থেকে তিনি এই জায়গায় মন্দির (Temple) তৈরির আদেশ পান। দেবী আদেশ দিয়েছিলেন, এই মন্দিরে কোনও আচ্ছাদন থাকবে না। দেবী পূজিত হতে চান রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতেই।

Kali Puja

তারপর দেবীর আদেশ মতো জমিদারবাবু এই স্থানে আচ্ছাদন বিহীন মন্দির তৈরি করে দেন। তারসাথে দেবীর আদেশ ছিল অমাবস্যার দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তৈরি করতে হবে মূর্তি। পরের দিন সূর্যোদয়ের আগেই সেই পূজিত মূর্তির বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই নিয়মই প্রচলিত রয়েছে দেবীনগরের পুজোয়।

ad

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর