বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কলা অত্যন্ত সুষম একটি খাদ্য। কলা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ রঙের কাঁচা কলা কিংবা হলুদ পাকা কলা। কিন্তু লাল বা গোলাপি রঙের কলা খুব একটা আমাদের চোখে পড়ে না। এবার এই ধরনের কলাই উৎপন্ন করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের (Kaliagunj) এক চাষী।
বিরল প্রজাতির মুসা ভেলুটিনা প্রজাতির কলা এই প্রথম চাষ হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে এই কলাকে রেড ব্যানানা বা লাল কলা নামে ডাকা হয়। বিরল প্রজাতির এই কলা উপর থেকে দেখতে লাল রঙের। কিছুটা গোলাপি আভাযুক্ত রং দেখা যায় এতে। এই কলার প্রথম জন্ম হয় এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায়।
এই কলা Red Dacca Banana নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ায়। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তারা প্রসাদ এই ধরনের লাল কলা চাষ করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। তারা বাবু সাত মাস আগে তার নার্সারিতে এই কলা গাছের চারা প্রথম লাগান। আর তারপর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়
তারা বাবুর কথায়, এই কলার চারা তিনি আনিয়েছিলেন উত্তরাখন্ড ও হায়দ্রাবাদ থেকে। এই কলার স্বাদ খুবই মিষ্টি। তবে অন্যান্য কলার তুলনায় এই কলার ফলন বেশ কম। তারা বাবু জানিয়েছেন, জল জমে না এমন উঁচু জায়গায় এই কলা গাছের চাষ করতে হয়। প্রতিদিন জল দিলে এই গাছ মরে যায়।
গরমের মৌসুমে ৭ দিনে একবার জল দিতে হয় এই গাছে। গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। ঠিক সময় মতো জল ও সার প্রয়োগ করতে হয় এই গাছে। তবে এই গাছে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ করা যায়। তারা বাবুর কথায়, সাধারণ হলুদ কলার মতোই এই লাল কলার স্বাদ। তবে এর পুষ্টিগুণ অন্যান্য কলার থেকে অনেকটা বেশি।
এই কলা কিডনির রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও লাল কলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শরীরে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে এই কলার জুড়ি মেলা ভার। তবে এই কলার ফলন অন্যান্য কলাগাছের তুলনায় বেশ কম। ভবিষ্যতে এই লাল কলা থেকে কতটা লাভবান হবেন সেই নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা বাবু।