DA নিয়ে আন্দোলনই সার! শেষ হাসি হাসল শাসকই, পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূলকে দেদার ভোট সরকারি কর্মচারীদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া নিয়ে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টেও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল। বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তারপরেও কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই (Trinamool Congress)। বিরোধীদের হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন প্রার্থী আলিফা আহমেদ। ডিএ আন্দোলনের কোনো প্রভাবই পড়ল না ভোটে।

পোস্টাল ব্যালটে বেশিরভাগ ভোট তৃণমূলের (Trinamool Congress)

ডিএ আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকেই যুক্ত বাম এবং বিজেপি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ গড়ে আন্দোলন শুরুর পর থেকেই দুই দল রয়েছেন আন্দোলনকারীদের পাশে। ডিএ মামলা লড়েছেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। পাশাপাশি অরাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের ভোট গেল তৃণমূলের (Trinamool Congress) পক্ষেই।

কত ভোট পেল শাসক দল: যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ভোট দিতে আসতে পারেন না তারা ভোট দেন পোস্টাল ব্যালটে। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর প্রকাশিত হয়েছে পোস্টাল ব্যালটের ফল। মোট ৯৫৪ টি বৈধ ব্যালট গণনা হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে মোট ৫৮০ টি ব্যালট রয়েছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পক্ষে। বিজেপি পেয়েছে ২৮৬ টি। এদিকে বাম-কংগ্রেসের ভাগ্যে জুটেছে মোটে ৮৬ টি ভোট।

আরো পড়ুন : ধ্বংস হতে পারত মধ্যপ্রাচ্য, ইরান-ইজরায়েলের ‘১২ দিনের যুদ্ধ’এ বিরতি ঘোষণা করে দিলেন ট্রাম্প

ফলাফল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন: এই ফলাফল নিয়ে বাম বিজেপি শিবিরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যে শাসক দলের বিরুদ্ধে ডিএ আন্দোলন, তারাই পেল সিংহভাগ ভোট। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীদের হয়ে আদালতে মামলা লড়া বাম-কংগ্রেস পেল মোটে এই কটা ভোট! কেন এমন ফলাফল? এ নিয়ে নানান মত উঠে আসছে।

আরো পড়ুন : ‘মুসলিম ভোট টানতেই এত কিছু, চিড়ে ভিজবে না’, মমতাকে জোর আক্রমণ ইব্রাহিম সিদ্দিকির, তৃণমূলে বাড়ছে ‘অস্বস্তি’

সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের একাংশ বলছে, পোস্টাল ব্যালটে ভোট গোপন থাকে না। বিরোধীদের ভোট দিয়ে সরকারের ‘নিশানা’য় আসতে চাননি অনেক কর্মচারীই। আবার অনেকের মতে, কালীগঞ্জ মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্র। এখানকার অনেক মুসলিম যুবক যুবতীই ওবিসি সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে পেয়েছেন চাকরি। সংরক্ষণ বাতিল হলেও তাদের চাকরি রয়ে গিয়েছে। তাই তারা শাসক দলকে ভোট দিলেও দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতাদের একাংশ।