নিয়োগ দুর্নীতিতে মাথা ঘুরে যাওয়া মোড়! অবশেষে ED-র হাতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ চার মাস বহু টানাপোড়েন, হুলস্থুলের পর গত জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujoy krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে ইডি (Enforcement Directorates)। কিন্তু যেই জিনিসের জন্য এত কাণ্ড, হঠাৎ সেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্টের কী হল, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল জনমানসে। তবে এবার অপেক্ষার অবসান।

শনিবার ইডির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাদের হাতে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। যদিও সেই রিপোর্টে কী এসেছে, নমুনার গলার সাথে সুজয়বাবুর বর্তমান কণ্ঠের মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে কী না সেই নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি তদন্তকারী সংস্থাটি।

গত ৪ জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার কড়া নির্দেশের পর এসএসকেএম থেকে কাকুকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সেই কণ্ঠস্বর মামলাতেই এবার নয়া টুইস্ট। আগামী সপ্তাহে আদালতে মামলার শুনানি রয়েছে। সেই সময়েই কাকুর কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট ইডি পেশ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা দিল্লিতে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাকুর কণ্ঠস্বর। তদন্তকারীদের দাবি, বিষ্ণুপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্র ধরে রাহুল বেরার বাড়িতেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ফোনের একটি কল রেকর্ডিং ইডির হাতে আসে বহুদিন আগে। কিছুদিন আগে সেই সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে নিজামে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)।

গতবছর মার্চ মাসে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার কর্মচারী ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত কাকু। ওদিকে সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে অভিষেককেই নিজের মালিক বলেও সম্বোধন করেছিলেন কালীঘাটের কাকু।

kalighater kaku ed

আরও পড়ুন: ‘দলের লোকেরাই ফাঁসিয়েছে’, কার নাম বললেন শাহজাহান? CBI জেরায় বিস্ফোরক দাবি

ইডির দাবি ছিল, কাকুর মোবাইল থেকে এমন অডিয়ো ক্লিপ মিলেছে, যেখানে প্রভাবশালীদের কণ্ঠস্বরও রয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছিল, কাকুর বর্তমান কণ্ঠস্বরের সঙ্গে সেই অডিয়ো ক্লিপে পাওয়া কাকুর কণ্ঠস্বর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করলে যদি সেটা মিলে যায়, তবেই তা প্রামাণ্য নথি হিসেবে আদালত গণ্য করবে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর