বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নতুন মোড় নিচ্ছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী ছাড়াও শাসক দল ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েটরা। টাকার বিনিময়ের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে এই মামলার গ্রেফতার হয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষ জামিন পেয়েছেন কাকু। এবার ওই অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কলকতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। পাশাপাশি আবেদন করা হয়েছে জামিনের শর্ত কমানোর জন্যও।
হাই কোর্টে বিরাট দাবি ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) অসুস্থ থাকায়, মানবিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে তার চিকিৎসার জন্য অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। এবার সেই জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল।
জামিন মিললেও কাকুকে জেল মুক্তির জন্য একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। বলা হয় বাড়ি ও হাসপাতাল ছাড়া কোথাও যেতে পারবেন না সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku)। একই সাথে তার বাড়িতে সর্বক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি যে দুটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছেন সেই নম্বর জানাতে হবে সিবিআইকে। এই সময়ের মধ্যে তিনি প্রয়োজন হলে অপারেশনও করাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৮ মাস পার! RG Kar কাণ্ডে ফের হাই কোর্টে তিলোত্তমার পরিবার, কী দাবি?
সবমিলিয়ে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাকে সহযোগিতা করতে হবে সিবিআইকে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ রয়েছে। আজ সেই মেয়াদ বৃদ্ধির জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘কাকু’।
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নানান টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku)। ইডি এবং সিবিআই উভয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এই মামলার ইতিমধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। এরপরেই হাইকোর্ট সিবিআইয়ের কাছে তার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট চায়। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর মানবিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে কাকুর শর্তসাপেক্ষ জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতিরা।