বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুখ সহ্য হল না কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)! ইডির করা মামলায় শর্ত সাপেক্ষ জামিন মিললেও এখনও জেলবন্দীই থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku)। রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন জেলবন্দী রয়েছেন তিনি। সবে মাত্র কলকাতা হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছিল তার।
আবার হাজিরার নির্দেশ কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku)
একাধিক শর্ত বেঁধে দিয়ে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জামিন মঞ্জুর করেছেন এই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। কিন্তু এই কাকুর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার আরও একবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে বিশেষ সিবিআই আদালত।
আবার ওই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। ইতিপূর্বে একাধিকবার হাজিরা এড়ানোর পর ৯ ডিসেম্বর পুনরায় তাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,এর আগে ৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্ত ‘কাকু’র। কিন্তু ‘অসুস্থ’ থাকার কারণ দেখিয়ে যথারিতি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: RG Kar কান্ডে মুখ খোলার মাশুল! পদ খোয়ালেন শান্তনু, যোগ দিচ্ছেন BJP-তে?
এই নিয়ে পরপর চতুর্থ বার আদালতের হাজিরা এড়ালেন তিনি। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেখানকার হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। প্রসঙ্গত,সুজয়কৃষ্ণ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন আগেই। তাই তাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করতে চায় সিবিআই।
‘শোন অ্যারেস্ট’ কী?
অনেকের কাছেই হয়তো এই ‘শোন অ্যারেস্ট’ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। যখন আগেই গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় তখন তাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ বলা হয়। প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পর সিবিআইও সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের পরীক্ষা করার আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু তার জন্য ‘শোন অ্যারেস্ট’ করতে হবে। নিম্ন আদালতের বিচারকও স্পষ্ট জানিয়েছেন, কাউকে হেফাজতে নেওয়া জন্য সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।