বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোট্ট পাহাড়ি এক শহর। কথা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পংয়ের (Kalimpong) যাকে বাঙালিরা এখন বোঝে অফবিট-পাহাড়ি ভ্রমণের জায়গা হিসেবে অর্থাৎ, দার্জিলিং ঘুরে, গ্লেনারিজে খেয়ে, ভিড়ভাট্টায় ক্লান্ত লাগলে কালিম্পং শহর বা আরও ভেতরের গ্রামগুলো হতে পারে আপনার গন্তব্য।
তেমনই নতুন ঠিকানা এখন কালিম্পং জেলার ১ নম্বর ব্লকের নিমং গ্রাম পঞ্চায়েতের দলবচান্দ গ্রামের শিকারটার এলাকা। এখানে পা রাখলে প্রকৃতির কোলে নিরিবিলিতে কেটে যাবে কয়েকটা দিন। যেখানে আপনার সঙ্গী হবে শুধু নদীর জলের কুলকুল শব্দ। সঙ্গে পেয়ে যাবেন ঘীস নদীর কোলেই রাত্রিবাসের সুযোগ।
আরোও পড়ুন : ফের প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর! আগামী মাসেই বদলে যাচ্ছে ৫ টি বড় নিয়ম, জানুন বিস্তারিত
পিকনিক স্পট হিসেবে অবশ্য এই জায়গাটির জুড়ি মেলা ভার। পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে মোট ১০টি টেন্ট। চাইলে তাঁবুতে রাত কাটানোর সুবিধেও পাবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি ছোট হোমস্টেতে থাকার সুবিধাও রয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রটি স্থানীয় যুবকদের হাত ধরেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নিমং গ্রাম পঞ্চায়েত।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত সুযোগ! মাসের মাইনে ৪০ হাজার, প্রচুর লোক নেবে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন, আবেদন করুন আজই
এখন মূল প্রশ্ন হল কীভাবে যাবেন? নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এই শিকারটার গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। যে কোনও গাড়ি খুব সহজেই পৌঁছে দেবে। থাকা-খাওয়া সবমিলিয়ে জনপ্রতি খরচ পড়বে ১২০০ টাকা। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই পর্যটনকেন্দ্রের উদবোধন করেন নিমং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবি ডোলমা তামাং।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, এখান থেকে খুব সহজে গরুবাথান, ঝান্ডি, লাভা, লোলেগাঁও ঘুরতে যেতেও পারবেন। ডোলমা তামাং বলেন, রাস্তাঘাট এখনও কিছুটা খারাপ আছে। পর্যটনের উন্নতি ঘটলে এলাকায় বেকারত্ব কমবে। বহু যুবক-যুবতী কাজের সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যে চলে গিয়েছে, তারা এবার নিজের গ্রামে ফিরবে।