কথায় বলে যে রাধে সে চুলও বাধে। নারীরা তো দশভূজা হয়। সেই বরাবর মেয়েদের নিজের কাজ আর সংসারের কাজ একসাথে সামলাতে হয়। ঠিক এই যুগে এসেও মেয়েরা যতই চাকরি করুক যতই পড়াশোনা করুক। তাদের ঘরের কাজ আর বাইরের কাজ একসাথে সামাল দিতেই হয়। আর এর মধ্যে একজন হলেন বরানগরের কল্পনা । সদ্য কুড়ি পেরিয়েছে কল্পনা। কিন্তু মাত্র ২০ বছর বয়সেই পরিবারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে তাঁকে।
ার বাধ্য হয়ে বই-খাতা ছেড়ে হাতে ধরেছেন বাসের স্টিয়ারিং। নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে কল্পনা। বাবা, মা, দিদি ও দুই দাদাকে নিয়ে সংসার বরানগরের কল্পনা মণ্ডলের। মাত্র এই বয়েসেই সে সংসারের দায়িত্ব হাসিমুখে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এতো অল্প বয়েস হোয়ায় আর পরিবারের ছোটো সদস্য হওয়ায় তার কনো অভিযোগ না থাকায় সে হাসি মুখে বাস চালায়।সারাদিনে একাধিকবার এসপ্ল্যানেড-বরানগর সফর সেরে রাতে ফেরেন বাড়িতে। শেষ আট মাসে প্রতিনিয়ত নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন কল্পনা।আর সেই নিয়ে প্রথম থেকেই অনেকের সন্দেহ ছিলো যে একজন মেয়ে হয়ে সে বাস চালাতে পারবে কিনা। সোশ্যাল মিডিয়ার এখন রিতিমতো ভাইরাল কল্পনা।
আর কল্পনার এই বাস চালানোর কাজ কোটি কোটি তরুণীর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন কল্পনা। কল্পনার বাবা সুভাষ মণ্ডল বছর দুয়েক আগে দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পান সুভাষবাবু।তারপর থেকে সংসারে চলছে অভাব অনটন।আর সেই অনটনের থেকেই স্টিয়ারিং হাতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কল্পনা। পড়াশোনা ছেড়ে সে এখন বাস চালাচ্ছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা