বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ভাঙা গড়ার খেলা দেখা গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। সেইসময় তৃণমূল থেকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা বিজেপির বাংলা জয়ের কান্ডারি হতে নাম লিখিয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু নির্বাচনের পরই ভোলবদলে ফের ফিরে আসতে তৃণমূলে। আর এবার সেই দলবদলুদের কটাক্ষ করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan banerjee)।
ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়- কাউকেই বাদ দিলেন না আক্রমণের তালিকা থেকে। এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলে ফিরে আসা নেতৃত্বদের নাম না করেই কটাক্ষ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন প্রয়াত তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ আকবর আলি খন্দকারের ৬৫ তম জন্মদিবস উপলক্ষে শেওড়াফুলিতে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন এই সকল তৃণমূল নেতৃত্বদের।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের সময় বলেছিলাম যে বিড়ালগুলোকে বাঘ ভেবে নিয়ে যাচ্ছেন, নির্বাচনের পর দেখাবেন তারাই ইঁদুর হয়ে গর্ত খুঁজবে। আর হলও তাই। আর তারাই এখন ফিরে এসে গর্ত খুঁজছে আর বলছে ”আমায় একটু জায়গা দাও গো, মায়ের মন্দিরে বসি”।’
প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরানোর সময় তৃণমূলের প্রতি কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নিজের কথার ভাঁজে তা বুঝিয়েও দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তিনি বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের সময় ডোমজুড়ের এক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দুবাইয়ে টাকার লেনদেন চলছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি গড়িয়াহাটে তাঁর নাকি ৩-৪ টি বাড়িও রয়েছে। এসবের পরও তাঁকে কেন দলে ফেরত নেওয়া হল, সেবিষয়ে অবশ্য শীর্ষ নেতৃত্বই সঠিক ভাবে বলতে পারবেন। বুঝতে পারছি না এরকম একটা টপ টু বটম কোরাপটেড লোককে কেন দলে ফিরিয়ে নেওয়া হল?’